জেল হাসপাতালে কি ৩ হেভিওয়েটের চিকিৎসা সম্ভব? এসএসকেএমে-র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা মেডিক্যাল বোর্ডের
তিন হেভিওয়েট মদন মিত্র (Madan Mitra), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) ও শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ভর্তি এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। আজ বৈঠকে বসতে পারে এইমসের (AIIMS) প্রতিনিধি দল।
কলকাতা: তিন হেভিওয়েট মদন মিত্র (Madan Mitra), সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) ও শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee) ভর্তি এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। শুক্রবার এসএসকেএম-এর মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এইমস (AIIMS) -এর পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলের। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নারদ কাণ্ডে ৩ অভিযুক্তের শারীরিক অবস্থা কেমন রয়েছে, চিকিৎসা পদ্ধতি-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সংশোধনাগারের হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা সম্ভব কিনা, সমস্ত বিষয় নিয়ে কথা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
নারদকাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েটের মধ্যে তিন জন অর্থাৎ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি। কিন্তু তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি কতটা যুক্তিযুক্ত? তা জানতেই সিবিআই (CBI) নিজস্ব মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে।
এইমসের পাঁচ বিশিষ্ট চিকিৎসককে নিয়ে এই টিম গঠন করা হয়। রাজ্যের তরফে পাঠানো মেডিক্যাল রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে। পাঠানো হয় ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) মেডিক্যাল রিপোর্টও। জেল সূত্রে খবর, ফিরহাদ এখন শারীরিকভাবে আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। তাঁর জ্বর নেই, পেটে ব্য়থাও অনেক কম। যা ক্ষত, তা কেবল মনেই। তাঁকে বেশ কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছে সে কারণেই। এদিকে, গত বুধবারই সিকিস্ক্যান করানো হয় মদন মিত্রের। বাকি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইকোকার্ডিওগ্রাফি করানো হয়েছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। প্রত্যেকের রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে মেডিক্যাল বোর্ড।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন দীর্ঘক্ষণ, জেলের সুপারের ঘরে চোখে চোখ রেখে ফিরহাদকে মনের জোর জোগাচ্ছেন স্ত্রী
এদিকে, আজ ফের কলকাতা হাইকোর্টে রয়েছে নারদ মামলার শুনানি। বেলা ১১ টায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। তবে তা অনিবার্য কারণে পিছিয়ে যায়। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার নেতার ভাগ্য নির্ধারিত হবে।