নারদ মামলা: সময় পেরনোয় হলফনামা নেয়নি হাইকোর্ট! এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ না করায় নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) হলফনামা গ্রহণ করে না কলকাতা হাইকোর্ট।

নারদ মামলা: সময় পেরনোয় হলফনামা নেয়নি হাইকোর্ট! এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 18, 2021 | 9:13 AM

কলকাতা: নারদ মামলা (Narada Case) আরও একবার পৌঁছলো শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্যের আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) লার্জার বেঞ্চের সিদ্ধান্ত বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা নিতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেশ না করায় নারদ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের (Moloy Ghatak) হলফনামা গ্রহণ করে না কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে মামলার পক্ষ হলেও মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্য কোনও মামলার রায় ঘোষণার সময় ধর্তব্যে আসবে না। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ আইনমন্ত্রী।

গত ১৭ মে নারদ মামলায় চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতারের পরই নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরের সামনে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিকে. সিবিআই আদালতে চার হেভিওয়েটের জামিনের শুনানি চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। গোটা বিষয়টি সেসময় সিবিআই কর্তা হাইকোর্টে ভার্চুয়ালি গোটা বিষয়টি জানান।

এর হাইকোর্টে নারদ মামলায় আসে নাটকীয় মোড়। এই মামলায় যুক্ত করা হয় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকেও। মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীকে তাঁদের বক্তব্য জানানোর জন্য হলফনামা দিতে বলে আদালত। কিন্তু এই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার সওয়াল শেষ হওয়ার পরে হলফনামা পেশ করেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: শুনানি আজই, তবে প্রশ্ন উঠছে তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার ৪১ দিন পর নন্দীগ্রামের রায় নিয়ে কেন আদালতের দ্বারস্থ মমতা?

সওয়াল জবাব চলাকালীন তুষার মেহেতার সওয়ালের পর হলফনামা পেশ করে রাজ্য। তুষার মেহেতা তা খারিজের আবেদন জানান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন নির্দিষ্ট সময়ের পরে দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর হলফনামা গ্রহণ করা হবে না। হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতে যাচ্ছে রাজ্য।