Primary TET: ‘বিরাশির’ হাসি, ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি পর্ষদের
Primary TET: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ করবেন।
কলকাতা : ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে অবশেষে কাটল জট। ৮২ পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের টেট (Primary TET) উত্তীর্ণ হিসেবে ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অভিযোগ উঠেছিল ২০১৭-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৮২ পেলে পাশ বলে ঘোষণা করা হলেও ২০১৪-তে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পেতে হত ৮৩। সে ক্ষেত্রে অনেক প্রার্থীই বঞ্চিত হয়েছেন বলে মামলা হয় হাইকোর্টে। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৮২ পেলে তাঁদের যেন পাশ বলে ঘোষণা করা হয়। এবার সেই প্রার্থীদেরই নিয়োগ (Recruitment) প্রক্রিয়া অংশ নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ।
১৫০ এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই তাঁদের উত্তীর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। এনসিটিই সারা দেশের ক্ষেত্রে ৮২ পেলে পাশ ঘোষণা করলেও, এতদিন পর্যন্ত এ রাজ্যে ৮৩ পেলে পাশ করানো হত। সোমবার পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪-র যে টেট প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা ২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওয়েবসাইট www.wbbpe.org ও wbbprimaryeducation.org এই দুই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন প্রার্থীরা।
টেট প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে মামলা হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ করবেন। উত্তীর্ণ হতে গেলে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছেন, শতাংশের হিসেবে তাঁদের প্রাপ্তি ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ। চাকরি প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ৫৪.৬ বা ৫৪.৭ শতাংশ নম্বরকে ৫৫ শতাংশ হিসেবেই গণ্য করতে হবে। তারপর ২০১৭-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, কিন্তু ২০১৪-র ক্ষেত্রে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করায় ফের প্রশ্ন ওঠে।