AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ছত্রধরের ‘গৃহবন্দি’ থাকার আবেদন ফেরাল আদালত, থাকতে হবে এনআইএ হেফাজতেই

রাজ্যের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে রেখেই তিনি (Chhatradhar Mahato) হাউজ অ্যারেস্ট থাকার আবেদন জানান।

ছত্রধরের 'গৃহবন্দি' থাকার আবেদন ফেরাল আদালত, থাকতে হবে এনআইএ হেফাজতেই
ফাইল ছবি।
| Updated on: Jun 07, 2021 | 8:42 PM
Share

কলকাতা: ছত্রধর মাহাতোর (Chhatradhar Mahato) গৃহবন্দি থাকার আবেদন ফেরানো হল। আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে তাঁকে। সোমবার জানিয়ে দিল এনআইএ আদালত। রাজধানী এক্সপ্রেস ‘হাইজ্যাক’ মামলায় গত ২৮ মার্চ ছত্রধরকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তার আগে গত শুক্রবার আইনজীবী মারফৎ আদালতে গৃহবন্দি থাকার আবেদন জানান জঙ্গলমহলের এই নেতা। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।

ছত্রধর মাহাতো তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতের কাছে আর্জি জানান। রাজ্যের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি এবং তাঁর শারীরিক অসুস্থতাকে সামনে রেখেই তিনি হাউজ অ্যারেস্ট থাকার আবেদন জানান। অর্থাৎ গৃহবন্দি থাকতে চান তিনি। কিন্তু আদালত তা ফিরিয়ে দিল।

আরও পড়ুন: ‘জলের নামে জলে চলে যাচ্ছে টাকা, কাজ কোথায়?’ নবান্নে ধমক মমতার

১১ বছর পর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছিলেন ছত্রধর। কিন্তু প্রথম দফার ভোটের পরদিনই কাকভোরে তাঁর আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে হানা দেয় এনআইএ। ছত্রধরকে চ্যাংদোলা করে তোলা হয় গাড়িতে। এরপর থেকে এনআইএ হেফাজতেই তিনি।

২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর। তখন ছত্রধর জেলে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলা স্টেশনে রাজধানী এক্সপ্রেস আটকানোর অভিযোগে ছত্রধরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলারই পুনর্তদন্ত চেয়ে আদালতে গিয়েছিল এনআইএ। আদালত তাদের তা করার নির্দেশ দেয়। ছাড়াও ২০০৯ সালে লালগড়ের সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুনে ছত্রধর-সহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ধারায় মামলা হয়। ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। সেই মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ছত্রধর। সে সময় জামিনও পান। কিন্তু লালগড়ের ভোট মিটতেই ফের গ্রেফতার করা হয় ছত্রধরকে।