প্রায় দু’মাস পর আক্রান্ত ৬ হাজারের নীচে, বঙ্গে পজিটিভিটির হারও ১০ শতাংশের কম

সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা আরও ৮ হাজার ৫৬৮ কমেছে। রাজ্যের বর্তমান সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২৬ হাজার ৮৮৬।

প্রায় দু'মাস পর আক্রান্ত ৬ হাজারের নীচে, বঙ্গে পজিটিভিটির হারও ১০ শতাংশের কম
নিম্নমুখী দেশের করোনা সংক্রমণ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 8:08 PM

কলকাতা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ফের একবার নেমে এল করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। সোমবার রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৬ হাজারের নীচে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা এখনও ১০০-র কম হল না। সংক্রমণের হার কমলেও এখনও মৃত্যুকে নিয়ন্ত্রণে আনা গেল না। অন্যদিকে আজকেই রাজ্যে পজিটিভিটির হারও নেমে এসেছে ১০ শতাংশের নীচে। যদিও স্বস্তির বিষয় হল, গত ১৪ এপ্রিলের পর আজ প্রায় দুমাস বাদে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজারে নীচে নেমেছে।

সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে কোভিড বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৮৭। গতকাল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ২ জন। শেষ একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১০৩ জনের। গতকাল এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় একলাফে রাজ্যের সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা আরও ৮ হাজার ৫৬৮ কমেছে। রাজ্যের বর্তমান সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ২৬ হাজার ৮৮৬।

অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে ক্রমশ নিম্নমুখী পজিটিভিটির হারও। সপ্তাহদুয়েক আগের ২০ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে তা কমে ১০ শতাংশের নীচে। তবে এই হার ৫ শতাংশের নীচে এলে তবেই বিধিনেষেধের রাশ কিছুটা আলগা করা যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্যে বর্তমান সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯৬.৯৮ শতাংশ। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৫২ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় অবশ্যে নমুনা পরীক্ষার হার কমেছে। মোট ৬০ হাজার ১০৯ টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের হাতছাড়া সিকিভাগও, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের সম্পূর্ণ দায়ভার কেন্দ্রের

আশা জাগিয়ে সংক্রমণের হার দ্রুতগতিতে কমছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা-সহ বাকি জেলাতেও। মে মাসের প্রথমে কলকাতায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল ৪ হাজারের দোরগোড়ায়। আজ তা কমে হয়েছে ৬১০। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে মারা গিয়েছেন ২৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা নেমে ১ হাজারের দোরগোড়ায়। একদিনে ১ হাজার ১৮১ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই জেলায়।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাইছে বিজেপি, তবে কি অন্য কোনও ইঙ্গিত?