Nirapad Sardar: বিধানসভায় নিরাপদ সবটা বলেছিলেন, নথি তুলে দাবি আরেক প্রাক্তন বিধায়কের
Burdwan: বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নথি দেখিয়ে দাবি করেছেন, নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টিভিনাইন বাংলাকে পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, তাঁর কাছে ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিধানসভার ছাপানো বইয়ের প্রতিটা ভলিউম আছে। নিরাপদর কথা শুনেই তাঁর মনে পড়ে, বহুবার নিরাপদ এ নিয়ে বলেছেন। এরপরই বইগুলি ঘাটতে থাকেন।
আসানসোল: মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন নিরাপদ সর্দার। সিপিএমের নিরাপদ ২০১৬ সাল অবধি সন্দেশখালির বিধায়ক পদে থেকেছেন। শেখ শাহজাহান বা তাঁর শাগরেদদের জমি কাড়া নিয়ে তিনি সে সময় বিধানসভায় সরবও হয়েছেন বলে সোমবারই দাবি করেন বসিরহাট কোর্ট চত্বরে। তবে নিরাপদর এই দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কিন্তু সিপিএম বলছে, প্রশ্নের অবকাশই নেই। বরং নথি নিয়ে এবার তারা ময়দানে।
বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নথি দেখিয়ে দাবি করেছেন, নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। টিভিনাইন বাংলাকে পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, তাঁর কাছে ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিধানসভার ছাপানো বইয়ের প্রতিটা ভলিউম আছে। নিরাপদর কথা শুনেই তাঁর মনে পড়ে, বহুবার নিরাপদ এ নিয়ে বলেছেন। এরপরই বইগুলি ঘাঁটতে থাকেন।
এ নিয়ে সোমবারই ব্রাত্য বসু বলেন, “বিধানসভায় কলিং অ্যাটেনশন বা দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব তো শুধু দাঁড়িয়েই বলা যায় না, লিখিতও করা যায়। লিখিত কোনও ডকুমেন্ট কি প্রাক্তন বিধায়ক আমাদের দেখাতে পারবেন? আমি নিশ্চিত এরকম কোনও দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব বিধায়কের কাছ থেকে আসেনি।”
তবে সিপিএম নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লাগাতার এই কথা বলেছেন। অনেকের নাম করে বলেছেন। এমনকী নিরাপদ সর্দার এও বলেছেন, আপনারা যা করছেন ভবিষ্যৎ আপনাদের ক্ষমা করবে না। বিধানসভার অন্দরে নিরাপদ সন্দেশখালির প্রতিটি অত্যাচারের ঘটনা বলেছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কখনও মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও বলেন, “আমিও তো প্রশ্ন তুলেছিলাম ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলা হচ্ছে, নদীর পার্শ্ববর্তী চরের চরিত্র বদল হয়ে যাচ্ছে। চন্দ্রকান্ত সিনহা মন্ত্রী ছিলেন। তিনি উত্তর দিয়েছেন। সেটা তো রেকর্ডে আছে বিধানসভার।’ প্রসঙ্গত ২০১৪ সালে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় যান তিনি।