Firhad Hakim : ‘মানুষের মন থেকে মমতাকে কেউ সরাতে পারবে না’, তৃণমূল সরকারের সাফল্যের রহস্য ‘উন্মোচন’ ফিরহাদের

Firhad Hakim : ফিরহাদ হাকিম বলছেন, "মানুষের দুঃখে তাঁর হৃদয় কাঁদে। মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষের প্রয়োজন অনুভব করেন। এতে মানুষের মনে দাগ কেটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।"

Firhad Hakim : 'মানুষের মন থেকে মমতাকে কেউ সরাতে পারবে না', তৃণমূল সরকারের সাফল্যের রহস্য 'উন্মোচন' ফিরহাদের
মমতার ছবি পিছনে থাকে বলেই আমাদের সভায় লোক হয়, বললেন ফিরহাদ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2022 | 8:15 PM

কলকাতা : তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্ণ। ক্ষমতায় আসার ১১ বছর পরও সাম্প্রতিক একাধিক নির্বাচনে বিরোধীদের পর্যুদস্ত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনীতির কারবারিরা বলেন, সাধারণত একটি দল একাধিকবার ক্ষমতায় থাকলে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের এই সাফল্যের রহস্য কী? তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্তিতে টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে সাফল্যের রহস্য ‘উন্মোচন’ করলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।

২০১১ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়েছিলেন মমতা। ২০১৬ সালে একাই লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস। আগের চেয়ে আসন বাড়ে। ২১১ টি আসনে জেতে ঘাসফুল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছিল, ২০০-র বেশি আসন পাবে তারা। রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, নির্বাচনে তৃণমূলকে জোর টক্কর দেবে বিজেপি। কিন্তু, ভোটের ফল বেরোনোর পর দেখা যায়, ২০১৬ সালের চেয়ে ভাল ফল করেছে তৃণমূল।

সাফল্যের এই হ্যাটট্রিকের রহস্য কী ? মমতার ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, “মানুষের পাশে থেকে তাঁদের প্রয়োজন অনুভব করে সেই অনুযায়ী কাজ করা। সেটাই করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য স্বাস্থ্যসাথী। মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য কখনও কন্যাশ্রী, কখনও রূপশ্রী। কখনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। মানুষের প্রয়োজন অনুভব করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইসব প্রকল্প নিয়েছেন। তাতে মানুষের সঙ্গে মমতার নিবিড় যোগ তৈরি হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন মমতা। বাংলার উন্নয়ন দেখছে মানুষ। সারা দেশে যখন অস্থিরতা, তখন বাংলায় শান্তি, সম্প্রীতি।”

তৃণমূল দল চালনা হয় মমতাকে কেন্দ্র করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র হয়ে উঠেছেন বলে জল্পনা বাড়ছে। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও ফিরহাদ বলেন, “আমরা দলের সৈনিক। উনি অধিনায়ক। মমতার ছবি পিছনে থাকে বলেই আমাদের সভায় লোক হয়। তাঁর ছবি সরিয়ে নিলে একটা লোকও সভায় থাকবে না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী ফিরহাদ। কোন গুণের জন্য ক্ষমতায় আসার ১১ বছর পরও মানুষের কাছে এত জনপ্রিয় তৃণমূল সুপ্রিমো? ফিরহাদ হাকিম বলছেন, “মানুষের দুঃখে তাঁর হৃদয় কাঁদে। মানুষের পাশে দাঁড়ান। মানুষের প্রয়োজন অনুভব করেন। এতে মানুষের মনে দাগ কেটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” এরপরই তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন থাকবেন, মানুষের মনের মধ্যে থাকবেন। কেউ তাঁকে সরাতে পারবেন না।

তৃণমূল সরকারের তৃতীয় দফার আরও চারবছর বাকি। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার টুইট করেছিলেন, ২০২৪ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হবেন। আর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন অভিষেক। প্রশ্ন উঠছে, এই চার বছরের মধ্যে কি কোনও মাস্টারস্ট্রোক দিতে পারেন মমতা? প্রশ্নের উত্তর মমতার উপর ছেড়ে দিলেন ফিরহাদ। বলেন, কোনও মাস্টারস্ট্রোক দেবেন কি না, সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বলতে পারবেন।