Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Swasthya Bhawan: হাসপাতালের স্টোরে মজুত থাকলেও ১৭টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না, নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর

Swasthya Bhawan: সরকারি নির্দেশিকার পরই বিকল্প ওষুধ ব্যবহার নিয়ে চিন্তায় সিএমওএইচরা। জেলায় জেলায় সিএমওএইচ'রা বিকল্প ওষুধের সন্ধানে ফোনাফুনি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

Swasthya Bhawan: হাসপাতালের স্টোরে মজুত থাকলেও ১৭টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না, নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর
স্বাস্থ্য ভবন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 31, 2025 | 7:52 PM

কলকাতা: স্যালাইনকাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছিল স্বাস্থ্য ভবন। পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের স্যালাইন-সহ একাধিক ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। স্যালাইনকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফার্মা ইমপেক্সের ওষুধের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন। আর তার জেরেই ফার্মা ইমপেক্সের ১৭টি ওষুধ ব্যবহার বন্ধের জন্য রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠাল স্বাস্থ্য দফতর। আর স্বাস্থ্য দফতরের এই পদক্ষেপের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গুণমান পরীক্ষা না করেই কি ওষুধগুলি ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল?

শনিবার সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস জানিয়েছে, ফার্মা ইমপেক্সের ১৭টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। কোন ওষুধগুলি ব্যবহার করা যাবে না, সেগুলি উল্লেখ করে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে নির্দেশিকা পাঠাল তারা। এই নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও বার্তা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, হাসপাতালের স্টোরে মজুত থাকলেও ফার্মা ইমপেক্সের এই ১৭টি ওষুধ কোনওভাবেই ব্যবহার করা যাবে না।

এই খবরটিও পড়ুন

এই ১৭টি ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না বলে স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে

ফার্মা ইমপেক্সের ১৭টি ওষুধ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিকিৎসকদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ফর ডক্টরসের নেতা মানস গুমটা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এটা তো ভয়ঙ্কর বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসবে। পশ্চিমবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে গরিব মানুষেদেরই চিকিৎসা হয়। কিছুদিন আগে স্যালাইনকাণ্ডে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তারপর ওই কোম্পানির স্যালাইন-সহ একাধিক ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। তার পরিবর্তে যাকে অর্ডার দেওয়া হল, তার ওষুধেও যদি সমস্যা দেখা যায়, তাহলে তো প্রশ্ন উঠবেই। যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা কী করছিলেন? ওষুধের গুণমান পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। সেসব না করেই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। এই স্বাস্থ্য দফতরের একটাই নীতি, আগুন লাগার পর জল নিয়ে দৌড়ায়। মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করা যায় না। এর দায় স্বাস্থ্য দফতরকে নিতে হবে।”

এদিকে, সরকারি নির্দেশিকার পরই বিকল্প ওষুধ ব্যবহার নিয়ে চিন্তায় সিএমওএইচরা। জেলায় জেলায় সিএমওএইচ’রা বিকল্প ওষুধের সন্ধানে ফোনাফুনি শুরু করে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।