Kestopur Student Death: সাসপেন্ড বাগুইআটি থানার ওসি ও তদন্তকারী অফিসার, মমতার ধমকের পরই কড়া পদক্ষেপ

Kallol Ghosh: মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাগুইআটি থানার ওসিকে দ্রুত সাসপেন্ড করা হল।

Kestopur Student Death: সাসপেন্ড বাগুইআটি থানার ওসি ও তদন্তকারী অফিসার, মমতার ধমকের পরই কড়া পদক্ষেপ
কল্লোল ঘোষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 8:55 PM

কলকাতা : নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। ধমক দিয়েছিলেন বিধাননগর পুলিশের কমিশনার সুপ্রতিম সরকারকেও। আর এরপরই তড়িঘড়ি বাগুইআটি থানার ওসি কল্লোল ঘোষকে সাসপেন্ড করা হল। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পর ওসিকে সাসপেন্ড করতে আর দেরি করেননি রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক শেষ হতে না হতেই বাগুইআটি থানার ওসিকে সাসপেন্ড করা হল। সেই সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে বাগুইআটি থানার তদন্তকারী অফিসারকেও। উল্লেখ্য, এর আগেই বাগুইআটি থানার ওসিকে ক্লোজ করা হয়েছিল। কিন্তু, কেন তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিল বিরোধীরা। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট। এমন পরিস্থিতিতে বাগুইআটি থানার ওসিকে দ্রুত সাসপেন্ড করা হল।

কেষ্টপুরে দুই কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না পরিবারের লোকেরাও। তাঁরাও দাবি তুলছেন সিবিআই তদন্তের। বাগুইআটি থানার ওসি কল্লোল ঘোষের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না, তা নিয়েও বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছিল। অস্বস্তি ক্রমেই বাড়ছিল রাজ্য প্রশাসনের। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সকালেই পদক্ষেপ করা হয়। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। বুধবার প্রথমে ক্লোজ় করা হয়েছিল ওসি কল্লোল ঘোষকেও। পরে বেলা গড়াতেই মমতার তুলোধনার পর সাসপেন্ড করা হল ওসিকে।

প্রসঙ্গত, মৃত কিশোরের পরিবারের তরফে আগেই বাগুইআটি থানার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল। এমনকী বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছিল। বসিরহাটের মর্গে ওই দুই কিশোরের দেহ পড়ে ছিল প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে। কিন্তু তারপরও দেহের খোঁজ পেতে এতদিন সময় লেগে গেল পুলিশের। সেক্ষেত্রে বসিরহাট থানার সঙ্গে বাগুইআটি থানার সমন্বয় কতটা ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের থেকে যেমন চাপ আসছিল, তেমনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই তড়িঘড়ি ক্লোজ হওয়া ওসিকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।