DA Case in High Court: ডিএ মামলায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ কম, রাজ্যের আর্জি প্রসঙ্গে বললেন বিচারপতি

DA Case in High Court: তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।

DA Case in High Court: ডিএ মামলায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ কম, রাজ্যের আর্জি প্রসঙ্গে বললেন বিচারপতি
হাইকোর্টে ডিএ মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2022 | 5:19 PM

কলকাতা : তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম বলেই বুধবার মন্তব্য করলেন হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। তবে রাজ্য পিটিশনের কপি মামলার অন্য পক্ষকে না দেওয়ায় শুনানি হয়নি এ দিন। বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টোয় ফের সেই মামলার শুনানি রয়েছে।

বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সেই প্রসঙ্গে এ দিন অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বিচারপতি বলেন, ‘পুনর্বিবেচনার সুযোগ খুব কম।’  এ দিকে, পিটিশনের কপি বুধবারের মধ্যেই অন্য পক্ষকে দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত। পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানির পর রাজ্যের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আদালত অবমাননার মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ক্রমশ বেড়েছে। সেই অভিযোগে হওয়া মামলায়, কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে অগস্ট মাসেই। তিন মাস পেরিয়ে যাওয়ার আগেই আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়।

তিন মাসের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও কেন বকেয়া ডিএ দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালত অবমাননার একটি মামলাও হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলারও শুনানি হয়নি এখনও।

মঙ্গলবার অন্য একটি মামলায় রাজ্য সরকার হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, কোনও মহার্ঘ ভাতা বাকি নেই। পুজোর অনুদান সংক্রান্ত একটি মামলায় হলফনামা দেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই মামলায় প্রশ্ন উঠেছিল, বকেয়া ডিএ না দিয়ে কেন পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে? সেই মামলায় হলফনামা দিয়ে রাজ্য জানিয়েছে ডিএ বাকি নেই। ডিএ এবং পূজার অনুদান- দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয় বলেও উল্লেখ করেছে রাজ্য।