Rural Housing Scheme: গ্রামীণ আবাস প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে? তদারকিতে ২১ জেলার দায়িত্বে ২১ আমলা

Rural Housing Scheme: জেলায় জেলায় বিশেষ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হল। তাঁদের কাজ থাকবে মূলত আবাস যোজনায় যাতে কোনওরকম বেনিয়ম না হয়, তার দিকে নজর রাখা। রাজ্যের ২১টি জেলার জন্য ২১ জন আধিকারিককে বসানো হল এই দায়িত্বে।

Rural Housing Scheme: গ্রামীণ আবাস প্রকল্পের কাজ কেমন চলছে? তদারকিতে ২১ জেলার দায়িত্বে ২১ আমলা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2022 | 8:03 AM

কলকাতা: আবাস যোজনার (Rural Housing Scheme) কাজে এ রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বার বার সরব হয়েছে বিজেপি শিবির। পরবর্তী সময়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরাও জেলায় জেলায় ঘুরে আবাস যোজনার কাজ পরিদর্শন করেছিলেন। সেই পরিদর্শনের পর মাসখানেক আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, জেলায় জেলায় বিশেষ আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। তাঁদের কাজ থাকবে মূলত আবাস যোজনায় যাতে কোনওরকম বেনিয়ম না হয়, তার দিকে নজর রাখা। সেই মতো এবার রাজ্যের ২১টি জেলার জন্য ২১ জন আধিকারিককে বসানো হল এই দায়িত্বে। আইএএস ও ডাব্লিউবিসিএস (IAS and WBCS) আধিকারিকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের (Panchayet and Rural Development) তরফে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

প্রতিটি জেলার জন্য একজন করে আইএএস বা ডাব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার আধিকারিকদের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে এই কাজের তদারকির জন্য। গোটা প্রকল্প কাজের বাস্তবায়নের উপরে নজরদারি চালাবেন তাঁরা। পঞ্চায়েত দফতরের থেকে জারি করা ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে, জব কার্ড দেখা হবে, গ্রাম সভার বৈঠক হবে এবং তারপর একটি পার্মানেন্ট ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করা হবে। আর এই বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবরের বিষয়টি তদারকির দায়িত্বে থাকবেন এই ২১জন দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। কোথাও কোনও বেনিয়ম হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখবেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যে আবাস প্লাস প্রকল্পের কাজের জন্য আশাকর্মীদের ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। পোর্টালে প্রকল্পের সুবিধা-প্রাপকদের যে তালিকা রয়েছে, সেই তালিকায় কোথাও কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা ঘুরে ঘুরে দেখবেন আশাকর্মীরা। মূলত কেউ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ফাঁকফোকড় দিয়ে তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন কি না, সেই বিষয়টিই খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়ার হয়েছে আশাকর্মীদের। এর জন্য তাঁদের সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।