Soumendu Adhikari : শ্মশানের জমি বিক্রির ‘দুর্নীতি’তে আপাত-স্বস্তি সৌমেন্দুর, কড়া পদক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের

Soumendu Adhikari : সৌমেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানের দাবি, শ্মশানের জমির চরিত্র বদলের কোনও অনুমতি পুরসভা দেয়নি।

Soumendu Adhikari : শ্মশানের জমি বিক্রির 'দুর্নীতি'তে আপাত-স্বস্তি সৌমেন্দুর, কড়া পদক্ষেপে 'না' হাইকোর্টের
সৌমেন্দু অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 5:34 PM

কলকাতা : তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা এলাকায় শ্মশানের জমি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। সেই FIR খারিজের দাবিতে তিনি মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। ওই মামলায় আপাতত স্বস্তি পেলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikari)। আজ বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, আগামী বুধবার, ১৩ জুলাই পর্যন্ত সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তবে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ জুলাই।

সৌমেন্দু অধিকারী চেয়ারম্যান থাকাকালীন রাঙামাটি শ্মশানের জমিতে কয়েকটি স্টল নির্মাণ করে কাঁথি পুরসভা। বর্তমান পুরবোর্ড ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে। এই নিয়ে সৌমেন্দু অধিকারী-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হয়।

কাঁথি পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান সুবল মান্নার বক্তব্য, জমির চরিত্র বদলের কোনও অনুমতি পুরসভা দেয়নি। এই সংক্রান্ত কোনও বৈঠকও পুরসভায় হয়নি। দোকান তৈরির কোনও ওয়ার্ক অর্ডার পুরসভায় নেই। কোনও টেন্ডারও ডাকা হয়নি। বর্তমান চেয়ারম্যান দাবি করেন, দোকান মালিকরা বলছেন যে তাঁরা দোকানের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন। কিন্তু, দোকান মালিকদের থেকে নেওয়া কোনও টাকা পুরসভায় জমা পড়েনি।

কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দুর দাবি, রাজনৈতিক কারণেই বারবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে তাঁর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেন। দাদার পথ ধরে সৌমেন্দুও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এই FIR খারিজের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। সৌমেন্দুর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আজ আদালতে বলেন, এই নিয়ে তিনবার তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ত্রিপল চুরি এবং কাঁথির প্রভাত কুমার মহাবিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। দু’বারই তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

রাজ্যের তরফে আজ আদালতে বলা হয়, পদাধিকারীরা সরে যাওয়ার পর অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ব্যক্তিগত ভালে প্রায় এক কোটি টাকা দোকান মালিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন তিনি। সেই টাকা পুরসভার কোষাগারে গিয়েছে কি না, সেটা দেখতে হবে।

আজ শুনানি শেষে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী বলেন, সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে আগামী ১৩ জুলাই পর্যন্ত গ্রেফতারের মতো কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে পুলিশ।