SSC Scam: পার্থর আত্মীয় প্রসন্নর রিয়েল এস্টেট-এ খাটানো হত নিয়োগ দুর্নীতির টাকা? উত্তর খুঁজছেন CBI গোয়েন্দারা
CBI : কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র মারফত খবর, 'ডিল' অনুযায়ী টাকা পৌঁছে যেত প্রসন্নর সল্টলেকের অফিসে। রাত ১০ টার পরে টাকা ঢুকত ওই অফিসে।

কলকাতা : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আরও এক মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এসএসসির নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, তিনি সম্পর্কে পার্থ বাবুর ভাগ্নি-জামাই। প্রসন্নর একটি গাড়ি ভাড়ার সংস্থা রয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের সন্দেহ, সল্টলেকের জিডি ব্লকের ওই অফিসের আড়াল থেকেই হত টাকার লেনদেন। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র মারফত খবর, ‘ডিল’ অনুযায়ী টাকা পৌঁছে যেত প্রসন্নর সল্টলেকের ওই অফিসে। রাত ১০ টার পরে টাকা ঢুকত ওই অফিসে। জানা গিয়েছে, প্রসন্নর অফিসে একটি কালো রঙের এসইউভি গাড়ি থাকত। ওই গাড়িটিকে ব্যবহার করেই টাকা আনা হত।
সিবিআই গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রিয়েল এস্টেট সহ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ব্যবসায় এসএসসির টাকা খাটানো হত। অভিযোগ উঠছে, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে একপ্রকার প্রভাব খাটিয়েই সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিসটিকে দখল করে রেখেছিল ওই প্রসন্ন রায়। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং-এর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে এসেছে।
প্রসন্ন রায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করত নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার অন্য মিডলম্যান প্রদীপ সিং। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের ‘ডিল’ হত এই অফিস থেকে। প্রসন্ন ও প্রদীপের কাছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও থাকত বলে সূত্রের খবর।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রসন্নর অফিসের গাড়ি যেত শান্তি প্রসাদ সিনহার কাছে। প্রসন্নর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রয়োজন মতো প্রসন্নর গাড়ি ভাড়া সংস্থার থেকে গাড়ি চেয়ে পাঠাতেন শান্তি প্রসাদ। প্রসন্নর অফিস থেকে গাড়ি ভাড়া দেওয়া সংক্রান্ত নথি ইতিমধ্যেই সিবিআই গোয়েন্দারা সংগ্রহ করেছে বলে সূত্র মারফত খবর। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, প্রসন্ন ও প্রদীপ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। বিশেষ করে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কীভাবে ঘুরপথে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত এই দুই ধৃত মিডলম্যান। এমনটাই সন্দেহ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের।





