Primary Recruitment: রাজঘাটে তৃণমূলের ধরনার মাঝেই যন্তর মন্তরে অবস্থানের অনুমতি পেলেন চাকরিপ্রার্থীরা

Primary Recruitment: প্রাথমিকে চাকরির জন্য প্রশিক্ষণও অত্যাবশ্যক ছিল না। এদিকে বাম সরকারকে সরিয়ে তৃণমূল এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর চালু হয় টেট। অভিযোগ, সে সময় ২০০৯ সালের পরীক্ষা বাতিল করে দেয় রাজ্য সরকার। তবে নানা কারণে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া ও মালদহ জেলায় নিয়োগ আটকে ছিল।

Primary Recruitment: রাজঘাটে তৃণমূলের ধরনার মাঝেই যন্তর মন্তরে অবস্থানের অনুমতি পেলেন চাকরিপ্রার্থীরা
দিল্লি যাওয়ার পথে চাকরি প্রার্থীরা। রবিবার। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 2:36 PM

কলকাতা: দিল্লির যন্তরমন্তরে অবস্থানের অনুমতি পেলেন বাংলার চাকরি প্রার্থীরা। অনুমতি পেলেন ২০০৯ সালের প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। এই চাকরি প্রার্থীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার। ইতিমধ্যেই যন্তর মন্তরে অবস্থান শুরু করেছেন তাঁরা। অবস্থান কর্মসূচি শেষে রাজঘাটে যাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের অফিসে যাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তৃণমূল কংগ্রেস যখন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লি গিয়েছে। সেই সময়ই রাজ্যে চাকরি হচ্ছে না, ২০০৯ সাল থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন অভিযোগ তুলে চাকরি প্রার্থীরা দিল্লিতে। উল্লেখ্য, আজ থেকে রাজধানীর বুকে কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া টাকার দাবি নিয়ে ধরনায় বসেছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সরগরম হচ্ছে রাজধানী। সেই সময়ই অদূরে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিন অবস্থান বিক্ষোভ শেষে রাজঘাটে যাবেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানে কর্মসূচি পালন করার পর যাবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের অফিসে। চেষ্টা করবেন ডেপুটেশন দেওয়ার ও মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার। মন্ত্রীর দেখা না পেলেও তাঁর সচিবের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করবেন বলে সূত্রের খবর।

ন্যায্য চাকরির দাবিতে রবিবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা প্রাথমিকে শিক্ষক পদের চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, এত বছর ধরে পাশ করে বসে আছেন তাঁরা। অথচ রাজ্য নিয়োগ নিয়ে নিরুত্তর। ২০০৯ সাল। তখন টেট পরীক্ষা ছিল না। সেই সময়ই প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তি বের হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে জেলাভিত্তিক পরীক্ষাও হয়। তখন প্রাথমিকের চাকরির জন্য প্রশিক্ষণও অত্যাবশ্যক ছিল না। অভিযোগ, ২০১০ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সেই পরীক্ষা বাতিল হয়। ২০১৪ সালে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি ইন্টারভিউও হয়। এদিকে আদালতে ২০০৯-এর পরীক্ষা বাতিলের মামলা গড়ায়। গত বছরই আদালত নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ খারিজও করে দেয়। নির্দেশ দেয় প্যানেল প্রকাশের। অভিযোগ, আজ পর্যন্ত তা হল না।