Primary TET Case: ‘ভাগ্যিস মৃত শ্বশুরের সম্পত্তির হিসেব চায়নি!’ আদালতে সওয়াল মানিকের আইনজীবীর 

Primary TET Case: প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদ থেকে মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর সম্পত্তির হিসেবও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

Primary TET Case: 'ভাগ্যিস মৃত শ্বশুরের সম্পত্তির হিসেব চায়নি!' আদালতে সওয়াল মানিকের আইনজীবীর 
মানিক ভট্টাচার্য (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2022 | 6:09 PM

কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাশাপাশি প্রাথমিকের নিয়োগ নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ সামনে আসতেই আঙুল ওঠে সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। তাঁকে অবিলম্বে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একাধিকবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছে সিবিআই। মানিক ভট্টাচার্যের কটা বাড়ি রয়েছে, কী কী সম্পত্তি রয়েছে, সে সব হিসেবও দিতে হয়েছে আদালতে। বৃহস্পতিবার সেই মামলায় সিবিআই-এর কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, তা রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতে। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন মানিক ভট্টাচার্যের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী জয়দীপ কর প্রশ্ন তোলেন, এই মামলায় কেন সংসদের সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল? কেন দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অপসারণের কথা বলা হচ্ছে? মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তি নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে এ দিন আইনজীবী বলেন, ‘ভাগ্যিস মৃত শ্বশুরের সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হয়নি!’ পাশাপাশির আইনজীবী আরও প্রশ্ন, কী উদ্দেশ্য নিয়ে এই মামলা করা হল? মানিকে যিনি বা যাঁরা নিয়োগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই কেন অপসারণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

মূলত প্রাথমিকের ২৬৯ জনের চাকরি এই মামলার অন্যতম বিষয়। নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ দিন তাঁদের পক্ষে আইনজীবীরা দাবি করেন, কোনও কথা বলার সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার কথা বলা হয়েছে তাঁদের। আদালত তাঁদের বক্তব্য পেশ করার কোনও সুযোগ দেয়নি। একই সঙ্গে এ দিন এজিও জানতে চেয়েছেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে আদালত।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই প্রথমে ডাক পড়ে মানিক ভট্টাচার্যের। পরে আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে অপসারিত করার নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কী কী সম্পত্তি রয়েছে। মানিক বাবু জানিয়েছিলেন, নদিয়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়ি আছে। সেখানে কিছু জমিও আছে। বর্তমানে তিনি ৬৫০ স্কোয়ার ফুটের একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। এ ছাড়া আরও একটি ফ্ল্যাট আছে। সম্প্রতি যাদবপুরে দুই ফ্ল্যাটেই তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।