আদিগঙ্গার বিক্ষোভকারীরা ‘পার্শ্বশিক্ষক নন’, চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ

মঙ্গলবার সকালে নজিরবিহীন এক প্রতিবাদের ছবি দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির পাশে আদিগঙ্গায়। সেখানে ৬-৭ জন জলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

আদিগঙ্গার বিক্ষোভকারীরা 'পার্শ্বশিক্ষক নন', চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ
এভাবেই জলে নেমে চলছিল প্রতিবাদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2021 | 6:19 PM

কলকাতা: সাত সকালে আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভে ‘চক্রান্তের’ গন্ধ পাচ্ছে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ। তাদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকদের কোনও সম্পর্কই নেই। বরং, তৃণমূলপন্থী একটি সংগঠন নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার সকালে নজিরবিহীন এক প্রতিবাদের ছবি দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির পাশে আদিগঙ্গায়। সেখানে ৬-৭ জন জলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান। মাসের পর মাস তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে এই প্রতিবাদে নামেন তাঁরা। শিক্ষামিত্র এবং অনুমোদনহীন মাদ্রাসা শিক্ষকরা ছিলেন সেখানে।

আরও পড়ুন: আপডেট: আদিগঙ্গা সাঁতরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে পার্শ্বশিক্ষকরা, গ্রেফতার ৫

সেই দৃশ্য TV9 বাংলার পর্দায় আসতেই শুরু হয় হইচই। মাধ্যমিক শিক্ষা সংগঠন, শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ, শিক্ষাবিদদের একাংশ এক যোগে এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। তাদের সকলেরই বক্তব্য, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণেই এমন নজিরবিহীন প্রতিবাদে শামিল হতে বাধ্য হন পার্শ্বশিক্ষকরা।

তবে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ এক ধাপ এগিয়ে এই ঘটনায় পার্শ্বশিক্ষকদের নাম জড়ানোকে চক্রান্ত বলেই মনে করছে। তাদের দাবি, ‘আজকের গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া কর্মসূচির সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা তৃণমূলপন্থী একটি সংগঠনের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা।’ রাজ্যজুড়ে পার্শ্বশিক্ষকরা যখন নিজেদের অধিকারের দাবিতে সরব, তাদের বদনাম করতে তৃণমূলপন্থী একটি সংগঠন এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলেই মনে করছে তারা।

যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এদিনের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে বলেন, “বিগত সরকারের আমল থেকেই তাদের যে উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছিল সেই উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়েছে। এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তাদের কী ভাবে সহানুভূতি দেখানো যায় তার চেষ্টা সবসময় করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেবল বিক্ষোভ দেখালে হবে না, একটা রাস্তা বের করতে হবে। আমি নিজে তাঁদের কথা শুনতে রানি রাসমণি রোডে গিয়েছিলাম। অধৈর্য্য হলে হবে না, তাদের কী ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।”