আদিগঙ্গা সাঁতরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে শিক্ষামিত্র-মাদ্রাসা শিক্ষকরা, গ্রেফতার ৫

পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে আসেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।

আদিগঙ্গা সাঁতরে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পথে শিক্ষামিত্র-মাদ্রাসা শিক্ষকরা, গ্রেফতার ৫
জলে নেমে বেনজির প্রতিবাদ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2021 | 6:31 PM

কলকাতা: বেনজির প্রতিবাদ শিক্ষামিত্র-মাদ্রাসা শিক্ষকদের। আদি গঙ্গায় নেমে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির দিকে রওনা দিলেন প্রতিবাদীরা। বেতনের দাবি-সহ একাধিক ইস্যুতে মঙ্গলবার সকালে এমনই অভূতপূর্ব প্রতিবাদের ছবি দেখল কলকাতা। যদিও পরে পুলিশের ‘কাতর আর্তি’তে উঠে আসেন প্রতিবাদীরা। তবে এ জল যে বহু দূর গড়াবে, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। পৌঁছয় বিরাট পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে।

আদিগঙ্গার পাশেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১০টা ২০ নাগাদ আলিপুর সংশোধনাগারের কাছে একটি দল জমায়েত করে। সেখানে পাঁচ ছ’জন ছিলেন। অপর একটি জমায়েত হয় আলিপুর পোস্ট অফিসের সামনে। পুলিশের যাতে কোনওরকম সন্দেহ না হয় তাই দু’ভাগে ভাগ হয়ে আসেন প্রতিবাদীরা।

আরও পড়ুন: চাকরি প্রার্থীদের জন্য বড় খবর! রেকর্ড সময়ে প্রকাশিত প্রাথমিক নিয়োগের মেধা তালিকা

এরপরই চুপচাপ চলে আসেন আদিগঙ্গার ধারে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আদিগঙ্গার খালে ঝাঁপ মারেন প্রতিবাদীরা। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি বলেই অনুমান। কারণ, তাঁদের হাতে যে প্ল্যাকার্ড ছিল জলে নামার আগে পর্যন্ত সেগুলি প্লাস্টিকে মুড়ে জামার ভিতরে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা।

খবর ছড়াতেই ছুটে আসে পুলিশ। হাত জোর করে প্রতিবাদীদের জল থেকে উঠে আসার অনুরোধ জানান। রুনু সাহা নামে এক মহিলাও ছিলেন সেখানে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে পুলিশের কাতর আর্তি “ম্যাডাম উঠে আসুন”। গামছা পরে জলে নেমে পড়েন এক পুলিশ কর্মী। দড়ি ফেলে তুলে আনা হয় প্রতিবাদীদের।

জল থেকে উঠেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন রুনু সাহা নামে এক শিক্ষামিত্র। বলেন, “সাত বছর ধরে সংসার ডুবে গিয়েছে। বেতন নেই, ভাতা নেই। সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে না। এক প্রকার বাধ্য হয়েই এই প্রতিবাদ।” যদিও এর বেশি তাঁকে আর কথাই বলতে দেয়নি পুলিশ। সরিয়ে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা। এরপরই প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় পাঁচজনকে।

যদিও এ নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের দাবি, আদিগঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার কর্মসূচির সঙ্গে পার্শ্ব শিক্ষকদের কোনও সম্পর্ক নেই।এটা তৃণমূলপন্থী একটি সংগঠনের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি ও অস্তিত্ব রক্ষার জন্য, বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা।