Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tala Bridge: ‘টালা ব্রিজের ছাদটাই নেই আমাদের’, মমতা আসার আগে তুমুল বিক্ষোভ এলাকাবাসীর

Tala Bridge: উদ্বোধনের দিনে বিক্ষোভ টালায়, পুনর্বাসনের দাবিতে সরব স্থানীয়রা।

Tala Bridge: 'টালা ব্রিজের ছাদটাই নেই আমাদের', মমতা আসার আগে তুমুল বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2022 | 1:32 PM

কলকাতা: প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর খুলছে টালা ব্রিজ (Tala Bridge)। যার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসেছিল উত্তর কলকাতার একটা বড় অংশের মানুষ। একইসঙ্গে পুজোর মুখে এই ব্রিজ খুলে যাওয়ায় শহরের যানজটে অনেকটাই লাগাম পড়ানো যাবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের একটা বড় অংশের। বৃহস্পতিবার এই ১ কিলোমিটারব্যাপী ব্রিজের উদ্বোধন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এদিনই বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। পুনর্বাসনের দাবিতেই এলাকাবাসীর একাংশ বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। 

যারা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁদের মধ্যে সিংহভাগ মানুষই দীর্ঘদিন ধরে টালা ব্রিজেন নীচে অস্থায়ীভাবে থাকতেন। কিন্তু, ব্রিজের পুর্নির্মানের সময় তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, তুলে দেওয়ার সময় সরকার তাঁদের নতুন বাসস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা দিনের শেষে রাখা হয়নি। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান রেল জমি দিচ্ছে না। সে কারণেই তাঁদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আটকে আছে। যদিও এ প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, “আমরা ওসব জানিনা। এলাকার কাউন্সিলর আমাদের তুলেছিলেন। ওনার কাজ আমাদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা।”

আর এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা পুনর্বাসন চাই। মাথার উপর পাকা ছাদ চাই। আমরা টালা ব্রিজের নিচে ছিলাম। আমাদের ওখান থেকে তুলে দেওয়ার সময় পুনর্বাসনের কথা বলেছিল। তরুণ সাহা বলেছিলেন।” তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আর এক বিক্ষোভকারীকে বলতে শোনা যায়, “হঠাৎ করে একদিন এখানকার কাউন্সিলর তরুণ সাহা আমাদের বের করে দিলেন। বললেন ব্রিজ ভাঙা হবে। তিন মাসের মধ্যে আপনাদের নতুন বাড়ি দিয়ে দেব। আমরা হাইকোর্টেও যাই। সেখানে মামলাও জিতি।” এদিকে এদিন বিকালেই নবনির্মিত এই ব্রিজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে এই বিক্ষোভে সরকারের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের।