Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Laxmi Puja: লক্ষ্মীপুজোর বাজারে গিয়ে হিমশিম মধ্যবিত্ত, টাস্কফোর্সের নজরদারি কোথায়? উঠছে প্রশ্ন

Laxmi Puja: টাস্কফোর্সের নজরদারি সেই অর্থে চোখে পড়ছে না। টাস্ক ফোর্স যদি একটি কড়া হত, তাহলে হয়ত মানুষের খানিক সুরাহা হত বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

Laxmi Puja: লক্ষ্মীপুজোর বাজারে গিয়ে হিমশিম মধ্যবিত্ত, টাস্কফোর্সের নজরদারি কোথায়? উঠছে প্রশ্ন
লক্ষ্মীপুজোর বাজারে আগুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2022 | 11:27 AM

কলকাতা: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বাজার করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। ফল-ফুল থেকে শুরু করে পুজোর সব সামগ্রীর দামই বেড়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্তকে বাজার করতে গিয়ে পকেটে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে। কিন্তু বাজারের দাম সামাল দিতে টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা কোথায়? কলকাতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জেলাগুলি, সব জায়গাতেই বাজারে আগুন দাম। জেলায় জেলায় বাজার ঘুরে দেখছেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিরা। টাস্কফোর্সের নজরদারি সেই অর্থে চোখে পড়ছে না। টাস্ক ফোর্স যদি একটি কড়া হত, তাহলে হয়ত মানুষের খানিক সুরাহা হত বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা টাস্ক ফোর্সের ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়ে বলেন, “সরকারের নজর এই দিকে নেই। সেই সুযোগে কালোবাজারিরা যা ইচ্ছে করছে। এর জন্য বাজারে অগ্নিমূল্য। চাহিদা যথেষ্ট আছে, সমতুল্য জোগানও আছে। কিন্তু মাঝে যে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র তৈরি হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে টাস্ক ফোর্সের গল্প শোনান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথায় গেল সেই টাস্ক ফোর্স? কোথাও তো মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে দেখা যায়নি। এর জন্য জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। সরকার এমন উদাসীন থাকলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।”

এই নিয়ে টিভি নাইন বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল টাস্ক ফোর্স সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের সঙ্গে। তিনি বলেন, “বাজারদরে কোনও সমস্যা সেই ভাবে নেই। লক্ষ্মীপুজো তো ঘরে ঘরে হয়। চাহিদাও থাকে বেশি। সেই কারণে বাজারদর এখন অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। লক্ষ্মীপুজোর পরে আবার কমতে শুরু করবে। শীতের সবজি ঢুকতে শুরু করেছে ইতিমধ্য়েই। তখন পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি। টাস্ক ফোর্স যতই নজরদারি করুক, চাহিদা ও জোগানের চেইনে যদি বিঘ্ন ঘটে, তাহলে উৎসবের মরশুমে এটা হয়েই থাকে। তবে এটি কমে যাবে। মাছের দাম এখন স্বাভাবিকই রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চেষ্টায় মাছের দাম স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। এবার যে বৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে, তার প্রভাব বাজারে দেখা গিয়েছে। আমরা আশা করছি দিন দশেকের মধ্যে এটি স্বাভাবিক হবে।”

টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য কমল দে বলেন, “টাস্কফোর্সের মিটিং দীর্ঘদিন হচ্ছে না। ফলে অ্যাক্টিভিটি অনেকটা কমে যায়। দ্বিতীয়ত অস্বাভাবিকভাবে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দাম বাড়ছে। হাটে যে সবজি ২০ টাকা, সেটি কলকাতায় এলে দাম বেড়ে হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। কৃষ্ণনগর থেকে একটি ট্রাক পাঁচ টন সবজি নিয়ে এলে ভাড়া পড়ছে ১৮-২০ হাজার টাকা। ট্রেনে সেই সবজি নিয়ে আসতে গেলে বুকিং করতে গেলে সাড়ে চার হাজার টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের পর্যাপ্ত বুকিং দিচ্ছে না।”