সেই সকালে প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ককেই সবার আগে ফোন করেন সন্দীপ ঘোষ, আর তারপরই…. R G Kar সূত্রে সামনে এল বড় যোগ

R G Kar Sandip Ghosh: সেদিন সন্দীপ ঘোষ সাড়ে দশটার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন। ততক্ষণে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে টালা থানার পুলিশ। আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, "আমরা শুনেছিলাম, অনেকেই এসেছিলেন সেদিন সেমিনার রুমে। কিন্তু সেটাই প্রশ্ন কেন এসেছিলেন? এটায় সবার একসঙ্গে লড়া উচিত। কেন এত লুকোছাপা?" 

সেই সকালে প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ককেই সবার আগে ফোন করেন সন্দীপ ঘোষ, আর তারপরই.... R G Kar সূত্রে সামনে এল বড় যোগ
সন্দীপ ঘোষ সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2024 | 11:59 PM

কলকাতা: এখনও পর্যন্ত তদন্তের যা গতি, তাতে তিলোত্তমা অধ্যায়ে প্রশ্নের শেষ নেই। তার মধ্যে মূলত, কোনও প্রভাবশালী কি এই পর্বে যুক্ত? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরাও। আর এই মাঝেই আরজি কর সূত্রে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য।

এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টেও বেজায় বিপাকে পড়েছে রাজ্য। হাসপাতাল ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। হাসপাতাল থেকে TV9 বাংলা পেয়েছে বেশ কিছু তথ্য ও ঘটনাক্রম, যা প্রশ্ন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া একাধিক ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকাল ১০.১৫ মিনিটে সন্দীপ ঘোষ শিবিরের এক হাউজ় স্টাফকে ফোন করেন প্রভাবশালী তৃণমূল বিধায়ক। সেসময়ে শিয়ালদহ স্টেশনে ছিলেন ওই হাউজ়স্টাফ। ‘কলেজের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক ছাত্রী ধর্ষণ ও খুন হয়েছে’- হাউজ়স্টাফকে একথা বলে দ্রুত কলেজে পৌঁছানোর নির্দেশ দেন প্রভাবশালী। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ওই হাউজ়স্টাফ দুই ইন্টার্নকে ফোন করে বিভাগে পৌঁছতে বলেন।

সংশ্লিষ্ট ইন্টার্নদের দাবি, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন, এক ইন্টার্ন ও হাউজ়স্টাফ সেখানে রয়েছেন। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকেই ফোন পান বলে দাবি প্রাক্তন অধ্যক্ষ শিবিরের জুনিয়র চিকিৎসকদের। অধ্যক্ষকে ফোনে খবর দেন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ। সঞ্জয় বশিষ্ঠকে খবর দেন নিহতের ইউনিট হেড চিকিৎসক সুমিত রায় তপাদার। বিভাগে পৌঁছে অধ্যক্ষকে ফোন করেন এক ঘনিষ্ঠ ইন্টার্ন। সংশ্লিষ্ট ইন্টার্নের দাবি, ঘটনাস্থলে বহিরাগতরা যাতে প্রবেশ না করেন, তা নিশ্চিত করতে বলেন অধ্যক্ষ।

সেদিন সন্দীপ ঘোষ সাড়ে দশটার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছন। ততক্ষণে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছে টালা থানার পুলিশ। আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, “আমরা শুনেছিলাম, অনেকেই এসেছিলেন সেদিন সেমিনার রুমে। কিন্তু সেটাই প্রশ্ন কেন এসেছিলেন? এটায় সবার একসঙ্গে লড়া উচিত। কেন এত লুকোছাপা?”

এই ঘটনাক্রম থেকে উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। সকাল ১০ টার মধ্যেই তিলোত্তমার ধর্ষণ ও খুনের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে, কার নির্দেশে অ্য়াসিস্ট্যান্ট সুপার ১০.৫২ মিনিটে বাবা-মাকে ফোন করে আত্মহত্যার কথা বলেন? তিলোত্তমার মা বলেন, “আমরা বাড়িতে থাকতেই বিষয়টা বুঝতে পেরে গিয়েছিলাম। ওরা কিছু চেপে দিতে চাইছে। আমরা যখন গাড়িতে ছিলাম, তখনই ওদের গলার টোনে বুঝেছিলাম।” তিলোত্তমার বাবা বলেন, “কাউকে একটা মৃত্যু সংবাদ দেওয়ার আগে, যে ধরনের গলার স্বর থাকে.. ওই স্বরটাতেই বোঝা যাচ্ছে।” কেনই বা ময়নাতদন্তের পর দায়ের করা হয়েছিল UD কেস? সে বিষয়ের উত্তর খুঁজছে সুপ্রিম কোর্টও।

ঘটনায় বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা নিছক উত্তেজনার বেশ করে ফেলা কোনও অপরাধ, নাকি এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। আরজি করের প্রশাসন, বাকি সব কিছু মিলিয়ে ওই মহিলা চিকিৎসক নিশ্চয়ই কিছু জানতেন, তা যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ”

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “এর পিছনে আরও অনেক দোষী রয়েছে। তাঁরা কারা? সেটাকেই চাপার চেষ্টা চলছে। “