Sandip Ghosh: কেন সিবিআই-কে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন সন্দীপ? সে সময় কী করছিলেন ভিতরে?

Sandip Ghosh: রবিবার সিবিআই-কে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট কেন বাইরে অপেক্ষা করালেন সন্দীপ? তথ্য লোপাটের জন্য সময় নিলেন কী? যাঁর বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে যখন সিবিআই এল, তখন তাঁর চোখেমুখের পরিভাষাতেই যেন ছিল বিস্ময়!

Sandip Ghosh: কেন সিবিআই-কে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখলেন সন্দীপ? সে সময় কী করছিলেন ভিতরে?
অবশেষে দরজা খুললেন সন্দীপ ঘোষ।Image Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2024 | 10:06 AM

কলকাতা:  দফায় দফায় তাঁকে দীর্ঘ জেরা চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই সক্কাল সক্কাল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ হাজিরা দিতেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তারপর বেরোতেন সন্ধ্যা-রাত্রে। কিন্তু দীর্ঘ জেরাতেও সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারীরা। ছুটির দিনে সাত সকালে এক্কেবারে সন্দীপ ঘোষের দুয়ারে এসে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনেক ডাকাডাকি, বেল বাজানো-সবই হয়েছে। ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলেছে এই পর্ব। সন্দীপের বাড়ির বাইরে ততক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছে পড়শিদের। কিন্তু একী! সন্দীপ ঘোষ কেন দরজা খুলছিলেন না? দেড় ঘণ্টা পর যখন সন্দীপ ঘোষ বের হন, তখন তিনি রীতিমতো ফর্মাল লুকে বেরোলেন। পকেটে পেন গোঁজা। পায়ে জুতো। ছুটির সকালে যেন কোনও চেম্বারে-দফতরে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দেড় ঘণ্টা কেন দরজা খুললেন না সন্দীপ ঘোষ? কেন সিবিআই-এর ডাকাডাকি শুনলেন না সন্দীপ? নাকি  তথ্য লোপাটের জন্য সময় নিলেন? জোরাল হচ্ছে সে প্রশ্ন। এর আগেও তো তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য মোবাইল ফোন হঠাৎ করেই পাঁচিল টপকে পুকুরে ফেলেছিলেন বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। এক্ষেত্রে কি তেমন কিছু ঘটল?

যাঁর বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ দুর্নীতির অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে যখন সিবিআই এল, তখন তাঁর চোখেমুখের পরিভাষাতেই যেন ছিল বিস্ময়!  আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ড ড. অমিয়কুমার বেড়ার বক্তব্য, ” সন্দীপ ঘোষের বিষয়টি বিচারাধীন বিষয়। যে কোনও ব্যক্তিই আরজি করের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন, তার শাস্তি হবেই। যত দ্রুত সম্ভব দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যাঁরা যুক্ত, তাঁদেরকে তদন্তের আওতায় এনে, দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত।”

পশ্চিমবঙ্গ অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালের এডিটর অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা তখনই সম্ভব, যখন প্রশাসন ব্যর্থ। প্রশাসনিক ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা চলছে। এতদিন হয়ে গিয়েছে প্রশাসন কিছুই করতে পারল না। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তদন্তের আওতায় আনা হোক।”

আরজি কর-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরেই সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। গত বছর আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি সন্দীপের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ তুলেছিলেন। দিনভর সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি সিবিআইয়ের। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তল্লাশি। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সন্দীপের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি ও ফাইল বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। সবুজ কাপড়ে বোচকা বেঁধে সেই নথি হাতে নিয়ে বের হন তদন্তকারীরা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)