Rajib Banerjee: ‘মমতার আশীর্বাদে লড়লে রেকর্ড মার্জিনে জয় পেতাম’, দিলীপ ঘোষদের কটাক্ষ রাজীবের

Rajib Banerjee on BJP: "ধর্মের নামে বিভাজন, জাতের নামে বিভাজন... শুধু ভোটের জন্য। কতবার আমি এর প্রতিবাদ করেছি। আমি বলেছি, এ জিনিস কিন্তু বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। তখন কোনও কোনও বঙ্গ বিজেপির বড় নেতারা বলতেন এটাই লাইন।''

Rajib Banerjee: 'মমতার আশীর্বাদে লড়লে রেকর্ড মার্জিনে জয় পেতাম', দিলীপ ঘোষদের কটাক্ষ রাজীবের
তৃণমূলে যোগল দিয়ে বিজেপিকে নিশানা রাজীবের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2021 | 8:32 PM

আগরতলা: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফের তৃণমূলে (TMC) ফিরে এসেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। আর তার ১২ ঘণ্টার মধ্যে নাম না করে দিলীপ ঘোষদের কটাক্ষ ছুড়লেন রাজীব। জানালেন, ধর্ম ও জাতপাতের নামে রাজনীতি তিনি অপছন্দ করেন। কিন্তু এটাই বিজেপি-র লাইন। তাই সরে এসেছেন। ঠিক কী বলেছেন পদ্মত্যাগী রাজীব?

তাঁর কথায়, “এক একজন কী বক্তব্য রেখেছেন? কেউ বলেছেন পায়ে গুলি করে মারব, কেউ বলেছেন বুকে গুলি করে মারব। একটা মারব, চারটে মারব। এগুলো আমার একদম পছন্দ নয়। ধর্মের নামে বিভাজন, জাতের নামে বিভাজন… শুধু ভোটের জন্য। কতবার আমি এর প্রতিবাদ করেছি। আমি বলেছি, এ জিনিস কিন্তু বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। তখন কোনও কোনও বঙ্গ বিজেপির বড় নেতারা বলতেন এটাই লাইন। এই লাইন নিলেই নাকি ঠিক জায়গায় পৌঁছনো যাবে। সেই লাইন কী মানুষ দেখিয়ে দিয়েছে।”

একুশের ভোটে হার নিয়েও মুখ খোলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি জানান, অনেক কেন্দ্রীয় নেতা তাঁকে ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বারণ করেছিলেন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা বলে। তবে যে কেন্দ্র থেকে তিনি একসময় রেকর্ড মার্জিনে জয় পেয়েছিলেন, সেখানে তাঁর বিশ্বাস ছিল। হেরেছেন বটে, তবে মানুষের রায় তিনি মাথা পেতে নিয়েছেন। এর পর রাজীব যোগ করেন, “যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ নিয়ে ডোমজুড় থেকে আবার আমি তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়াতাম, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, পশ্চিমবাংলার বুকে আবার একটা রেকর্ড মার্জিনে জয়লাভ করতাম।”

এদিকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতারা তাঁর ঘরওয়াপসিতে মোটেই খুশি নন। এদিন তো কল্যাণ বলেই দিয়েছেন, “তবে গত ভোটের সময় মমতাদি ডোমজুড়ে প্রচারের গিয়ে যে বলেছিলেন, গড়িয়াহাটে তাঁর ৩-৪ টে বাড়ি আছে, টাকার লেনদেন দুবাইয়ে, তা সত্ত্বেও কেন তাকে দলে নেওয়া হল তা শীর্ষ নেতৃত্বই বলতে পারবেন।” তাঁর সংযুক্তি ‘রাজীব টপ টু বটম কোরাপটেড।’ তবে এ নিয়ে রাজীবের প্রতিক্রিয়া, “কল্যাণবাবু শ্রদ্ধেয় অভিভাবক। আমি সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। ওটা তাঁর ব্যক্তিগত মত হতে পারে। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব যখন আমাকে গ্রহণ করেছেন, তাঁরা যখন মনে করেছেন আমি এসে কাজ করি, তাঁরা যখন মান্যতা দিয়েছেন সেভাবে কাজ করব।”

আর চাটার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান নাকি এদিন বিমানে এসে ত্রিপুরায় ঘরওয়াপসি, কোনটা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ? রাজীবের মন্তব্য, “বিমানে গিয়ে দিল্লি যেতে যাইনি। কতবার রিফিউজ় করেছি আমি বিমানে যাব না। বাংলার মানুষকে কাছে রেখেই যোগদান করতে চাই। কিন্তু ওঁনাদের আসা সম্ভব ছিল না। তাই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। আজ ত্রিপুরা এসেছি। তবে আমি মনে করি সারা ভারতবর্ষ আমাদের জায়গা। এখন তো রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে তৃণমূল। অভিষেক চেয়েছিলেন আমার জয়েনিং যেন তাঁর হাত থেকে হয়। আর আমিও চেয়েছিলাম জয়েনিংয়ে তিনি যেন থাকেন। পুরোটা তো ভারতবর্ষের মাটিতেই হয়েছে।”

আরও পড়ুন:  Rajib Banerjee: কী হবে মমতার ‘হরিদাস মন্ত্রী’র বিরুদ্ধে বনসহায়ক মামলা? খোঁচা বিজেপির-ও