Kolkata Metro: দৃষ্টিহীন চোখে হাজার ওয়াটের ‘দক্ষতা’র আলো, অন্যদের পথ দেখান কলকাতার ‘মেট্রোম্যান’ কানাইলাল
Kolkata Metro: পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের তরফে কোনও অভিযোগ এলে তা এসে পৌঁছায় কানাইলালবাবুর বিভাগে। দ্রুতা তা খতিয়ে দেখে নিজে হাতে ব্যবস্থাও নেন ৫৮ বছরের এই মেট্রো কর্তা।
কলকাতা: মনের জোর থাকলে সবটাই সম্ভব। চোখে না দেখতে পেলেও অদম্য জেদ আর হার না মানা লড়াইকে সঙ্গী করে তাই যেন আরও একবার প্রমাণ করছেন কলকাতার (Kolkata Metro) ‘মেট্রোম্যান’ কানাইলাল বিশ্বাস। বাড়ি নদিয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) কাছে মালিঘাটা গ্রামে। এই প্রত্যন্ত গ্রামেই ছোট থেকে বেড়ে উঠেছেন তিনি। বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হওয়ার পর ১৯৮৯ সালে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষায় বসেছিলেন। পাশও করেন নিজের দক্ষতায়। সেই থেকে চিফ অফিস সুপারিন্টেনডেন্ট হিসাবে কাজ করছেন কলকাতা মেট্রোর ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্টে।
পরিষেবা নিয়ে যাত্রীদের তরফে কোনও অভিযোগ এলে তা এসে পৌঁছায় কানাইলালবাবুর বিভাগে। দ্রুত তা খতিয়ে দেখে নিজে হাতে ব্যবস্থাও নেন ৫৮ বছরের এই মেট্রো কর্তা। এমনকী তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই সংক্রান্ত কোনও বিষয় হলে মেট্রোর তরফে সেই সমস্ত উত্তরও দেন তিনি। সহকর্মীরা বলছেন, তাঁর স্মৃতি শক্তি খুবই ভাল। কোনও ঘটনা একবার শুনলে দীর্ঘদিন তিনি তা মনে রাখতে পারেন। যা তাঁর কাজের ক্ষেত্রেও বেশ সহায়ক হয়।
এমনকি কাজে আসাধারণ দক্ষতার জন্য ২০০৮ সালে রেলমন্ত্রীর হাত থেকে অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন তিনি। দুর্গাপুজোর তুমুল ভিড়ের সময়েও রাতভর কাজ করতে দেখা যায় কানাইলালবাবুকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাঁকে ১৯৯৮ এবং ২০২১ সালে “দক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি হিসাবে যোগ্যতার শংসাপত্র” দিয়ে ভূষিত করেছে। অফিসের কাজ ছাড়াও, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে প্রায়শই দাঁড়াতে দেখা যায় কানাইলালকে। বিভিন্ন জায়গায় করেন দান। এমমকী তাঁর জীবনের উদাহরণ দিয়ে অন্যান্য প্রতিবন্ধী সঙ্গীদের অনুপ্রাণিত করতে পছন্দ করেন।