RG Kar Case: ৫ ঘণ্টা পর মাত্র ৫ লাইনেই ‘দায় সারা’ হল কেন? আরজি কর-কাণ্ডে কীসের এত ধোঁয়াশা!
RG Kar Case: TV9 বাংলার হাতে যে নথি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এফআইআরের জন্য আবেদন করেন তৎকালীন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সেই আবেদন করা হয়। আর আবেদন গ্রহণ করা হয় ঠিক রাত ২ টো ৪৫ মিনিটে।
কলকাতা: বৃহস্পতিবার রাতে যখন বিশ্রাম নিতে সেমিনার রুমে যান তিলোত্তমা, তখনই ঘটে যায় ঘটনাটা। শুক্রবার সকালে উদ্ধার হয় দেহ। অভিযোগও জানানো হয় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে, হাসপাতালের মধ্যে একদন চিকিৎসকের দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও কেন অভিযোগ জানানো হল না? এদিকে, প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ বলছেন, অভিযোগ জানানো হয়েছে।
TV9 বাংলার হাতে যে নথি এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এফআইআরের জন্য আবেদন করেন তৎকালীন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সেই আবেদন করা হয়। আর আবেদন গ্রহণ করা হয় ঠিক রাত ২ টো ৪৫ মিনিটে। প্রশ্ন উঠছে, একটা এফআইআর দায়ের হতে কেন ৫ ঘণ্টা লেগে গেল?
আরও দেখা যাচ্ছে, সেই কপিতে লেখা মাত্র ৫টি লাইন। নেই ওই চিকিৎসক তথা ছাত্রীর নাম। প্রশ্ন হল, তবে কি তখনই অনুমান করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে, এই ঘটনায় নাম উল্লেখ করা যাবে না?
নেই ঘটনার কোনও সময়ের উল্লেখ বা বর্ণনা। নমো নমো করে ৫ লাইনে দায় সেরে ফেলতেই কি এই অভিযোগ করা হয়? ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সর্বভারতীয় সভাপতি আর ভি অশোকান প্রশ্ন তুলেছেন এই বিষয়ে। তিনি বলেন, হাসপাতালে দায়িত্ব ছিল ঠিক সময়ে সঠিকভাবে অভিযোগ করা। হাসপাতাল তো ‘ফেল’ করেছে।
এদিকে, তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ জানিয়েছি। এফআইআরও হয়েছে। নথি আছে, জমা করে দেব।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)