RG Kar Viral Audio: প্রথম ফোন: অসুস্থ; দ্বিতীয় ফোন: গুরুতর অসুস্থ; তৃতীয় ফোন: আত্মহত্যা; এতবার মিথ্যে! শুনুন নিজের কানে

RG Kar Hospital: প্রথম দিন থেকে তিলোত্তমার মা-বাবা বলছিলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুইসাইড করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কারণ, নির্যাতিতার মা-বাবা বারবার বলেছেন, শেষবার অর্থাৎ (৮ অগস্ট) রাত্রি ১১টার সময়ও যখন কথা হয়েছিল তখন তিনি স্বাভাবিক ছিলেন।

RG Kar Viral Audio: প্রথম ফোন: অসুস্থ; দ্বিতীয় ফোন: গুরুতর অসুস্থ; তৃতীয় ফোন: আত্মহত্যা; এতবার মিথ্যে! শুনুন নিজের কানে
ভাইরাল অডিয়োImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2024 | 12:36 PM

কলকাতা: এটা সেই দিনের কথা। যখন তিলোত্তমার পরিবারকে আরজি কর হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করে বলেছিলেন, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ধীরে-ধীরে নিকৃষ্ট-নির্মম সেই ঘটনা সকলের সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, নাহ! চিকিৎসক পড়ুয়া সেই তরুণী আত্মহত্যা করেননি। অভিযোগ, তাঁকে যৌন হেনস্থার পর খুন করা হয়েছে। প্রথম দিন থেকে তিলোত্তমার মা-বাবা বলছিলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের প্রথমে জানিয়েছিলেন মেয়ে সুইসাইড করেছেন। বারবার ফোনে তাঁরা জানতে চেয়েছেন কী হয়েছে তাঁদের মেয়ের। কারণ, নির্যাতিতার মা-বাবা বারবার বলেছেন, শেষবার অর্থাৎ (৮ অগস্ট) রাত্রি ১১টার সময়ও যখন কথা হয়েছিল তখন তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। তাহলে আচমকা কেন আত্মহত্যা করবেন? আর তাই হাসপাতালের ফোন আসার পর থেকেই হাত পা ঠান্ডা হয়েছিল মা-বাবার। কোনও একটা বিপদ যে হয়েছে তা খানিকটা আঁচ করতে পেরেছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার যখন বারবার ‘এড়িয়ে’ যাচ্ছিলেন কাঁদো-কাঁদো গলায় মা-বাবা খালি জানতে চাইছিলেন ‘মেয়েটা কেমন আছে?’ একবার বলুন মেয়েটা কেমন আছে….’

ঘটনার দিন ঠিক কী বলেছিলেন ফোন করে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার? টিভি ৯ বাংলার হাতে এল সেই অডিয়ো ক্লিপ। যা তিলোত্তমারই এক বন্ধু দিয়েছেন।

প্রথম অডিয়ো

তিলোত্তমার বাবা: হ্যালো

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: তিলোত্তমার বাড়ির লোক বলছেন?

তিলোত্তমার বাবা: কে বলছেন?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওর শরীরটা অসুস্থ হয়েছে। আপনারা আসতে পারবেন ইমিডিয়েট?

তিলোত্তমার বাবা: কেন? কী হয়েছে সেটা বলবেন তো!

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওর শরীরটা খারাপ। আপনারা একটিু আসতে পারবেন?

তিলোত্তমার বাবা: কী হয়েছে কী সেটা বলবেন?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: সেটা তো আপনারা হাসপাতালে এলে ডাক্তাররা বলবে। আমরা আপনার নম্বর জোগাড় করে জানালাম। বাড়ির লোক হিসাবে তাড়াতাড়ি আসুন।

তিলোত্তমার বাবা: কী হয়েছে সেটা বলো না তুমি?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: পেসেন্টের শরীর খারাপ। ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। বাকিটা আপনারা এলে ডাক্তাররা বলবে।

তিলোত্তমার মা: ওর কী জ্বর হয়েছে?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনারা তাড়িতাড়ি আসুন। ডাক্তাররা বলবেন।

তিলোত্তমার বাবা: কেন ? অবস্থা খুব খারাপ?

দ্বিতীয় অডিয়ো

তিলোত্তমার বাবা: কী হয়েছে বলো না

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: ওঁর অবস্থা খুবই খারাপ। আপনারা তাড়াতাড়ি আসুন।

তিলোত্তমার বাবা: আপনি কে বলছেন?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আমি অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বলছি। ডাক্তার বলছি না।

তিলোত্তমার বাবা: ডাক্তার নেই ওইখানে কোনও?

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনার মেয়েকে আমরা এমার্জেন্সিতে এনেছি। আপনাদের বলছি তাড়াতাড়ি আসার জন্য।

তিলোত্তমার মা: ওর কী হয়েছিল কী? ও তো ডিউটিতে ছিল

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: আপনারা জলদি চলে আসুন। যত তাড়াতাড়ি পারবেন

তৃতীয় অডিয়ো

আরজি কর হাসপাতালের মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার: শুনুন আপনাকে তখন বারবার বলছিলাম…ব্যাপারটা হচ্ছে, আপনার মেয়ে হয়তো সুইসাইড করেছে বা মারা গিয়েছেন। পুলিশ রয়েছে। আমরা হাসপাতালে সবার সামনে রয়েছি। আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারবেন চলে আসুন।

পুলিশ কী বলেছিল?

আইসি আরজি কর: হ্যালো

তিলোত্তমার মা: আমি আইসি আরজি কর বলছিলাম।

আইসি আরজি কর: আপনারা আসছেন তো?

তিলোত্তমার মা: হ্যাঁ একদম আসছি। কেমন আছে শরীর?

আইসি আরজি কর: আপনারা আসুন। কথা হবে। আরজি করের চেস্ট ডিপার্টমেন্টের এইচওডি-র কাছে আসুন। কথা হবে।

আত্মহত্মার নাট্যরূপ সাজাতেই পরিকল্পনা করেই ফোন গিয়েছিল তিলোত্তমার বাবার কাছে। বললেন চিকিৎসক উৎপল বন্দোপাধ্যায়। উৎপলবাবু বলেন, “আরজি করে আমরা রোজ বুঝছি স্বাস্থ্য প্রশাসন ওখানে সারাদিন থেকে মেয়েটির বাড়ির লোকের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছে। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলছে। তদন্ত গুলিয়ে দিতে এবং অমানবিক ভাবেই এসব করেছে। দুষ্কৃতী ও যারা প্রভাবশালীরা ওখানে রইলেন এদের হেফাজতে নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ হোক।”