River erosion: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেবেন বলেছিলেন শুভেন্দু, এখনও মেলেনি: শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

River erosion issue in Bengal: গঙ্গা-সহ রাজ্যের একাধিক নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে যৌথ দরবার করার ক্ষেত্রে বিরোধীদের কোনও সাড়া মিলছে না। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

River erosion: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দেবেন বলেছিলেন শুভেন্দু, এখনও মেলেনি: শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করেও যোগাযোগ করতে পারছেন না, দাবি শোভনদেবের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 22, 2022 | 10:37 PM

কলকাতা: গঙ্গা-সহ রাজ্যের একাধিক নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে দিল্লিতে যৌথ দরবার করার ক্ষেত্রে বিরোধীদের কোনও সাড়া মিলছে না। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) এই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি লিখিতভাবে নদী ভাঙন রোধে রাজ্যের প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। কিন্তু, এখনও তার কোনও জবাব দেননি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। বিরোধী শিবির থেকে এই বিষয়ে কোনও সাড়াই মিলছে না। এই অবস্থায় প্রয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেস একাই দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করবে বলে জানিয়েোছেন শোভনদেব।

এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “শুভেন্দু আমায় বলেছিলেন, চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি এই বিষয়ে বিজেপির মতামত জানিয়ে দেবেন। কয়েকদিন অপেক্ষা করার পর আমি তাঁকে ফোন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনও যোগাযোগই করা যায়নি। যদি প্রস্তাবের কোনও অংশ নিয়ে তাদের আপত্তি থাকে, তাহলে তারা তা জানাতে পারত। আমরা বাদ দিয়ে দিতাম, কোনও অসুবিধা ছিল না। কিন্তু, মূল উদ্দেশ্য থেকে তো সরে আসা যায় না। সেই বিষয়ে আমরা সকলে সহমত হয়েছিলাম। কিন্তু, আজ বিরোধীদের দিক থেকে একটা অদ্ভূত নীরবতা দেখা যাচ্ছে। এটা সংসদীয় বা পরিষদীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে খুব বেমানান।”

বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, “এই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি আমাকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, বারবার বলা সত্ত্বেও বিরোধীদের থেকে তিনি কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না। বিরোধীদের সহযোগিতা পাচ্ছেন না। আমরা দেখছি কী করা যায়, এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করব আমরা।”

নদী ভাঙন রোধে কেন্দ্রের সহযোগিতা চায় রাজ্য। সর্বশেষ বিধানসভা অধিবেশনে গঙ্গা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন নদীর ভাঙন রোধে কেন্দ্রীয় সহযোগিতা লাগবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্যের স্বার্থে এই বিষয়ে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলকে দিল্লিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই এই বিষয়ে বিধানসভায় একটি প্রস্তাব এনেছিল সরকার। সেই প্রস্তাবের উপর আলোচনা হওয়ার পর, সর্বসম্মতভাবে রাজ্য বিধানসভার এক সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলকে দিল্লিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সেদিন অবশ্য বিধানসভায় ছিলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অনুপস্থিতিতে বিজেপির বিধানসভার মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা নীতিগতভাবে সরকারের এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিলেন। পরে অবশ্য বিজেপি জানিয়েছিল, এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর, গত ৩ ডিসেম্বর পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। সেই সময়ই সরকারি প্রস্তাবের লিখিত খসড়া চেয়েছিলেন শুভেন্দু।

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই পশ্চিমবঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ‘নমামি গঙ্গে’ সংক্রান্ত একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঠিক তার আগে, গঙ্গা ও অন্যান্য নদীর ভাঙন নিয়ে সংঘাতের পরিবেশ তৈরি হল রাজ্যে।