School Reopening: স্কুল তো খুলছে! বাস বা পুল কার পাবে তো পড়ুয়ারা?

West Bengal: রাজ্য সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৬ নভেম্বর থেকে খুলছে স্কুল। শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।

School Reopening: স্কুল তো খুলছে! বাস বা পুল কার পাবে তো পড়ুয়ারা?
করোনা আক্রান্ত স্কুল শিক্ষিকারা (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 3:04 PM

কলকাতা : আগামিকাল থেকে খুলছে স্কুল। বহুদিন পর ধুলো ঝেড়ে খোলা হচ্ছে দরজা-জানালা। চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি। এত দিন ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইনে পড়াশোনা চললেও মাঝে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। পুল কার কিংবা স্কুল বাসগুলিও বন্ধ ছিল এত দিন। ফলে চালক বা অন্যান্য কর্মীরা খুঁজে নিয়েছেন অন্য কাজ। স্কুল চালু হলেও কতজন পড়ুয়া পুলকারে উঠবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে স্কুল বাস সংগঠনের। তাই বেশি বাস বা গাড়ি রাস্তায় নামাতে চাইছে না তারা।

আগামিকাল থেকেই শুরু হচ্ছে স্কুল। তার আগে স্কুল বাস কিংবা পুল কারগুলিও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। সংগঠনের কর্তাদের দাবি, ৩ থেকে ৫ শতাংশ গাড়ি নামানো হবে আপাতত। খুব বেশি পড়ুয়া স্কুল বাস বা পুলকারে উঠবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, যেহেতু নিচু ক্লাস আপাতত বন্ধ আছে তাই বেশি পড়ুয়া স্কুলে যাবে না। এ ছাড়া যে সব ক্লাসের পড়াশোনা শুরু হচ্ছে, তার অধিকাংশেরই পরীক্ষা রয়েছে আগামী কয়েক দিন ধরে। সেই কারণে কত শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে সংগঠনগুলি। মনে করা হচ্ছে, কোভিড পরিস্থিতিকে অভিভাবকেরা সন্তানকে পুলকারে তুলতে নাও চাইতে পারেন। তাই মঙ্গলবার স্কুল খোলার পর কত ছাত্রছাত্রী কতজন হচ্ছে, তা বোঝা যাবে।

রয়েছে আরও এক সমস্যা। দীর্ঘদিন ধরে স্কুল গুলি বন্ধ থাকার ফলে পুলকার এবং স্কুল বাস চালকদের মধ্যে অনেকেই অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। ফলে চালক সংখ্যাও অপ্রতুল। পুলকার সংগঠনের সঙ্গে যে সমস্ত মহিলারা যুক্ত ছিলেন যারা মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের গাড়িতে উঠতে বা নামতে সাহায্য করতেন, তাঁরাও অনেকে অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছেন। এর ফলে আরও একটা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এরই মধ্যে গাড়ির ইন্সিওরেন্স ফিটনেস সার্টিফিকেট সহ একাধিক খরচ হয়েছে। তার ফলে বহু সংগঠন চাইছে ভাড়া বাড়ানো হোক যদিও এ ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে অভিভাবক এবং সংগঠন গুলির মধ্যে। মঙ্গলবার স্কুল চালু হয়ে যাওয়ার পরই বোঝা যাবে আসল ছবিটা।

আপাতত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাবে। এরপর ধাপে ধাপে বাকিদেরও ক্লাস চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই রাজ্যের শিক্ষা দফতর জেলাগুলিতে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কী ভাবে স্কুল খুলতে হবে। স্কুল শিক্ষা দফতরের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে হবে। সেই মর্মে বিদ্যালয়গুলিকে নোটিস জারি করতে হবে। এছাড়াও প্রতিটি স্কুলে একটি শয্যাযুক্ত আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। আচমকা যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাকে যেন সেখানে স্থানান্তরিত করা যায়। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও উল্লেখ রয়েছে এই স্কুল রিওপেন বুকলেটে। যাতে কারও জ্বর এলে বা অসুস্থ হলে প্রাথমিক ভাবে তা সামাল দিতে পারেন স্কুলে স্যার, দিদিমণিরা।

আরও পড়ুন: Post Poll Violence: ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রথমবার ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করল সিবিআই