Congress : আসন সমঝোতা নাকি জোট? আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কী ভাবে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস?
Congress : প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) সদর দফতর বিধানভবনে জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন নেপাল মাহাতো।
কলকাতা : সামনেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote)। রাজনৈতির তপ্ত আবহে তপ্ত হচ্ছে বাংলার মাটি। পঞ্চায়েতের রণকৌশল সাজাতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছে শাসক থেকে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই। তৃণমূলের হয়ে মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছেন দিদির দূতেরা। এবার ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিল হাত শিবিরও। হয়ে গেল কংগ্রেসের (Congress) পঞ্চায়েত বৈঠক। প্রার্থীদের ময়দানে একা একা ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কোনও সমস্যা হলে জেলাভিত্তিক কমিটি করে পঞ্চায়েত ভোটে নামা হবে। প্রতি মুহূর্তে জেলা কমিটির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে রাজ্য কমিটির। তার সঙ্গে প্রস্তুত থাকবে দলের থাকবে আইন সেল এবং কমিশন সেল। এমন এক গুচ্ছ ভাবনাকে সঙ্গী করে জেলাস্তরে সম্মেলন সেরে পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন করতে চায় বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবনে জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিলেন পঞ্চায়েত কমিটির চেয়ারম্যান নেপাল মাহাতো।
সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত ভোটে জোট বা আসন সমঝোতার প্রসঙ্গ তোলেন কয়েকজন জেলা সভাপতি। তার জবাবে এদিনের বৈঠকে নেপাল জানান, যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে কারও সঙ্গে সমঝোতা করা হবে না। হাত প্রতীকেই লড়বে দল। তবে যেখানে কংগ্রেস দুর্বল, সেখানে কী করা হবে তা আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তা নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গ সামনে রেখে দু-তিন জন জেলা সভাপতি মনে করেছেন, জোট বা আসন রফার পথ খোলা থাকছে ভোটের ময়দানে। সেখানে তৃণমূল ও বিজেপি-বিরোধী দল হিসাবে যারাই থাকবে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই জেলা সভাপতিরা। অবশ্য আইএসএফের সঙ্গে কোনও বোঝাপড়া করতে রাজি নন প্রদেশের বিভিন্ন স্তরের নেতৃত্ব, এমনটাই খবর সূত্রের।
সূত্রের খবর, অন্য দলের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে এদিন সামগ্রিকভাবে একাধিক মত পোষণ করতে দেখা গিয়েছে অনেক কংগ্রেস নেতাকেই। অন্য দলের সঙ্গে সমঝোতার আগেও বুথস্তরে দলকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথাই এদিনের বৈঠকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন বাঘমুণ্ডি প্রাক্তন বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘সবার আগে প্রতি বুথে কর্মী থাকতে হবে। পতাকা আর প্রতীককে সামনে রেখে কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে হবে। সে কথাই বলে দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতিদের।’ অন্যদিকে মুখে বড় কথা না বলে হাতে-কলমে বুথের তথ্য নিয়ে তৃণমূল স্তরে কমিটি করে পঞ্চায়েত ভোটে নামতে হবে বলে জেলা সভাপতিদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন নেপাল। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে কোন বুথে কোন প্রার্থী কত ভোটে জিতেছেন, তার রিপোর্ট তৈরি করতে হবে জেলা গুলিকে। তার ভিত্তিতেই বুথ কমিটি কাজ শুরু করবে। তবে এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে তবেই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। তবে বরাবরই জোট বা আসন সমঝোতার বিরোধী নেপাল। একুশের ভোটেও সেই অবস্থান রাহুল গান্ধীর সঙ্গে হওয়া বৈঠকে স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। এখন দেখার বিধানভবনের অন্দরের জল এখন কোন দিকে গড়ায়।