Biju Patnaik’s iconic aircraft: ইন্দোনেশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন ‘পাইলট’ বিজু পট্টনায়েক, কলকাতা থেকে ওড়িশা পাড়ি দিল সেই বিমান
Biju Patnaik's iconic aircraft: যশোর রোড, বেলঘরিয়ার রোডের ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হল বিজু পট্টনায়েকের সেই সাধের বিমান।
কলকাতা: কলকাতা থেকে ওড়িশা পাড়ি দিল বিজু পট্টনায়েকের সাধের বিমান। মঙ্গলবার রাতে সেই বিমানটি কলকাতা বিমানবন্দর থেকে যশোর রোড এবং বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে ওড়িশার দিকে রওনা হল। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজু পট্টনায়েক নিজেও একজন পাইলট ছিলেন। কয়েক দশক পুরনো এই ডিসি-৩ এয়ারক্রাফটেই একসময় উদ্ধার করা হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও উপ রাষ্ট্রপতিকে। সূত্রের দাবি, কলকাতা বিমানবন্দরে অযত্নেই পড়েছিল সেই ঐতিহাসিক এয়ারক্রাফট। ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে এটি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হলেও, নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের পর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিমানটি। ভুবনেশ্বরে সেটি রাখা থাকবে বলে জানা গিয়েছে।
শোনা যায় এই ‘ডাকোটা’ বিমান ছিল বিজু পট্টনায়কের সবচেয়ে পছন্দের বিমান। তাঁর তৈরি কলিঙ্গ এয়ারলাইনসে ছিল মোট ১৫ টি ডাকোটা বিমান। বিমানগুলি সাধারণত সেনা জওয়ানদের যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হত। বিশেষত কাশ্মীরে যাতায়াতের জন্য এই বিমান ব্যবহৃত হত।
১৯৪৭ সালের ২৪ জুলাই ইন্দোনেশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সুলতান জাহিরির এবং তৎকালীন উপ রাষ্ট্রপতি মহম্মদ হাট্টাকে উদ্ধার করার জন্য এই ডিসি-৩ বিমান নিয়েই উড়ে গিয়েছিলেন বিজু পট্টনায়ক। সেই সময় ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ চলছিল। সেই উদ্ধারকাজের জন্য পরবর্তীকালে বিজু পট্টনায়ককে সম্মানিত করেছিল ইন্দোনেশিয়া সরকার। ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ‘ভূমিপুত্র’। ১৯৯৫ সালে দেওয়া হয় সেই সম্মান।
সে কারণেই এই বিমান ফিরিয়ে নিয়ে যেতে উদগ্রীব ছিল ওড়িশা সরকার। এই বিমান রাখার জন্য ১.১ একর জমির অনুমোদন দিয়েছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্ট তথা বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে রাখা থাকবে বিমানটি।