Korn Ferry survey: বিপুল হারে বেতন বাড়ছে ভারতীয়দের, ঈর্ষায় জ্বলবে চিন-অস্ট্রেলিয়া
Salary hike in India on 2023: চলতি বছরে বিপুল হারে বাড়তে চলেছে ভারতীয় চাকুরিজীবীদের বেতন। সুখবর দিল কনসাল্টিং ফার্ম 'কর্ন ফেরি'র সমীক্ষা।
নয়া দিল্লি: ভারতীয় চকুরিজীবীদের জন্য সুখবর দিল কনসাল্টিং ফার্ম ‘কর্ন ফেরি’র সমীক্ষা (Korn Ferry survey)। চলতি বছরে বিপুল হারে বাড়তে চলেছে ভারতীয় চাকুরিজীবীদের বেতন (Salary hike in India on 2023)। এশিয়ার মধ্যে আর কোনও দেশে এত পরিমাণে বেতন বৃদ্ধি হবে না বলেই জানা গিয়েছে। কর্ন ফেরির সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, ভারতের সেরা পারফর্মারদের বেতন, এই বছর ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। আর গড়ে ভারতীয়দের বেতন বাড়বে ৯.৮ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতীয়দের বেতন বেড়েছিল গড়ে ৯.৪ শতাংশ। সবথেকে বেশি বেতন বাড়বে প্রযুক্তি শিল্প, জীবন বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে। এই তিন ক্ষেত্রে সকলেরই গড়ে ১০ শতাংশের বেশি বেতন বৃদ্ধি হতে পারে।
কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে ভারত। তবে, ভারতের সমস্যা হল, বিপুল জনসংখ্যা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তরুণ নাগরিক কর্মক্ষেত্রে পা রাখে। সামগ্রিকভাবে বেকারত্বের হারও অনেক বেশি। কাজেই মেধার প্রতিযোগিতাটা অত্যন্ত কঠিন। কর্ন ফেরি সংস্থা ভারতের ৮১৮টি সংস্থায় এই সমীক্ষা চালিয়েছে। মোট ৮ লক্ষ কর্মী এই সংস্থাগুলিতে কাজ করেন। দেখা গিয়েছে ৬১ শতাংশ সংস্থাই তাদের সেরা পারফর্মারদের সংস্থায় ধরে রাখতে বাড়তি অর্থ প্রদান করতে চলেছে।
ভারতীয় চাকুরিজীবীদের যেখানে ৯.৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হতে পারে, সেখানে এশিয়ার অন্যান্য দেশের চাকুরিজীবীদের জন্য কিন্তু মোটেও ভাল ইঙ্গিত মেলেনি এই সমীক্ষায়। সমীক্ষা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়দের বেতন বাড়তে পারে ৩.৫ শতাংশ, চিনে ৫.৫ শতাংশ, হংকংয়ে ৩.৬ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৭ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪.৫ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৫ শতাংশ, নিউজিল্যান্ডে ৩.৮ শতাংশ, ফিলিপাইন্সে ৫.৫ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৫ শতাংশ এবং ভিয়েতনামের চাকুরিজীবীদের বেতন বাড়তে পারে ৮ শতাংশ।
কর্ন ফেরির এই সমীক্ষায় আরও একটি দিক উঠে এসেছে, তা হল কর্মস্থল। কোভিড মহামারির সময়ে বাধ্য হয়ে প্রায় সব সংস্থাই তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছিল। বর্তমানে অধিকাংশ সংস্থার কর্মীরাই অফিসে ফিরলেও, বাড়ি থেকে কাজ করার অভ্যাস পুরোপুরি ত্যাগ করেনি সংস্থাগুলি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৬০ শতাংশ সংস্থাই তাদের কর্মীদের কর্মস্থলের হাইব্রিড মডেল অনুসরণ করতে বলেছে। হাইব্রিড মডেল মানে, কাজের কিছু অংশ অফিস থেকে এবং কিছু অংশ বাড়ি থেকে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রধানত মেট্রোপলিটন শহরগুলিতে অবস্থিত সংস্থাগুলিতেই হাইব্রিড এবং অফিসের বাইরে কোনও দূরবর্তী স্থান থেকে কাজ করার প্রবণতা ধরা পড়েছে।