PM Narendra Modi: ‘মোদী এলেই জিতব, এই মানসিকতা চলবে না’, ‘বিজেপি জোড়ো’র বার্তা নমোর
BJP National Executive Meet: মোদী এলেই জিতব এই মানসিকতা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই।
নয়া দিল্লি: ‘মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’। এই স্লোগান নিয়ে এর আগে কোনও বিজেপি কর্মীর মনে যদি সামান্যতম সংশয়ও থেকে থাকে, ২০২২ সালের গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর তাও সরে গিয়েছে। কিন্তু, মোদী এলেই জিতব এই মানসিকতা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। বিজেপির কার্যনির্বাহী সমিতির দুই দিনের বৈঠকের শেষদিনে, বিজেপি কর্মীদের তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন যে, তাঁরা যেন আত্মতুষ্টিতে না ভোগেন। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতিগুলি সম্পর্কে সচেতন করতে জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে ‘বিজেপি জোড়ো’ প্রচার শুরুর পরামর্শও দিয়েছেন মোদী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদী বলেন দলের সমস্ত কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। মোদী প্রচারে আসলেই আমরা জিতব, এই মানসিকতা নিয়ে কাজ করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৪০০ দিন বাকি আছে। ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবরা এর আগের সরকারের অপশাসন দেখেনি। বর্তমান সরকারের অধীনে ভারতে কীভাবে অপশাসন সরে গিয়ে সুশাসন এসেছে, তা তারা জানে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলগুলিকে দুর্বল মনে করলে চলবে না। সবাইকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে হবে। যুব সম্প্রদায়কে মোদী সরকারের কাজ নিয়ে সচেতনতা করতে হবে।
বিজেপি কর্মীদের সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির সঙ্গে আরও বেশি করে সংযোগ করার পরামর্শও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি আরও বলেছে, ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর অঙ্গীকার মেনে সমস্ত রাজ্যগুলির একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। একে অপরের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। এর পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে দলের সঙ্গে যুক্ত করতে ‘বিজেপি জোড়ো’ অভিযান শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি কর্মীদের সমাজের সকল শ্রেণির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। শুধুমাত্র ভোটের জন্য কাজ করলে চলবে না, দেশে পরিবর্তন আনার জন্য কাজ করতে হবে। কারণ, বিজেপি এখন আর নিছক কোনও রাজনৈতিক আন্দোলন নয়, এটা বর্তমানে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষ্যেই এই আন্দোলন।