টিকা না পেয়ে অশান্তি, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিজিকে চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের

বুধবার খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সহায়তা চেয়ে চিঠি দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব। সেখানে তাঁর আর্জি, টিকাকেন্দ্রের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করুন।

টিকা না পেয়ে অশান্তি, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ডিজিকে চিঠি স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2021 | 12:31 AM

কলকাতা: বাংলা তথা দেশজুড়ে করোনা টিকার (Corona Vaccine) অপ্রতুলতা। কেউ প্রথম ডোজ পেয়ে দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। কেউ আবার অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ লাইন দিয়েও প্রথম ডোজ না পেয়েই ফিরে যাচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রের (Covid Vaccination Centre) সামনে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোলের ছবি উঠে এসেছে। এই প্রেক্ষিতে বুধবার খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে সহায়তা চেয়ে চিঠি দিলেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব। সেখানে তাঁর আর্জি, টিকাকেন্দ্রের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করুন। যাকে নজিরবিহীন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

দেশে আঠারোর্ধ্বদের টিকাকরণ শুরু হবে ১ মে থেকে। পশ্চিমবঙ্গে আবার তৃতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হবে ৫ মে। এই প্রেক্ষিতে বুধবার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে বললেন স্বাস্থ্য দফতরের সচিব। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, চাহিদা অনুযায়ী ভ্য়াকসিনের যোগান নেই। এই অবস্থায় কলকাতা-সহ জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড় বাড়ছে। কোথাও কোথাও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। টিকাকেন্দ্রের সামনে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা টিকাকেন্দ্রগুলিতে যথেষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা উচিত বলে মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের সচিব।

টিকার অপ্রতুলতা এবং দাম নিয়ে বারবার কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে যথেষ্ট পরিমাণ টিকা সরবরাহ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এদিকে কলকাতা থেকে জেলাওয়াড়ি করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ আবার ভোট-বঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের সচিবের এই চিঠির মধ্যেও রাজ্যের সূক্ষ্ম রাজনৈতিক চাল দেখছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিকে ফের তলব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের, নবান্ন চায় ভিডিয়ো বৈঠক

তাদের মতে, টিকাকেন্দ্রের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করে রাজ্যের শাসক দল আসলে বোঝাতে চাইছে বাংলায় করোনা প্রতিষেধকের আকাল কতটা বেশি।