Ragging in Kolkata: যাদবপুরের ছায়া এবার হেরিটেজে, ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতার কলেজে

Ragging in Kolkata: সোহমের বাড়ি নেতাজিনগরের রামগড়ে। বর্তমানে তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে CSE-এর দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই ছাত্র জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টো পনেরো নাগাদ কলেজের গেটের কাছে মাসুম রাজা, আবির সেন ও তাঁদের কিছু সঙ্গী তাঁকে ঘিরে ধরে। মারধর করা হয়।

Ragging in Kolkata: যাদবপুরের ছায়া এবার হেরিটেজে, ফের ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ কলকাতার কলেজে
প্রতীকী ছবি।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2023 | 10:19 PM

কলকাতা: মাস আড়াই আগে যাদবপুরের র‌্যাগিংকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। মৃত্যু হয়েছিল প্রথমবর্ষের এক পড়ুয়ার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এরইমধ্যে এবার ফের র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ শহর কলকাতায়। অভিযোগ, হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে র‌্যাগিংয়ের শিকার দ্বিতীয়বর্ষের এক পড়ুয়ার। ইতিমধ্যেই সোহম সরকার নামে ওই পড়ুয়া আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলা হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। 

সূত্রের খবর, সোহমের বাড়ি নেতাজিনগরের রামগড়ে। বর্তমানে তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি কলেজে CSE-এর দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়া। পুলিশের কাছে করা অভিযোগে ওই ছাত্র জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টো পনেরো নাগাদ কলেজেরে গেটের কাছে মাসুম রাজা, আবির সেন ও তাঁদের কিছু সঙ্গী তাঁকে ঘিরে ধরে। ব্যাপক মারধরও করা হয়। রাস্তায় ফেলে বুকে-পেটে লাথি মারা হয়। মারের চোটে তাঁর ডান পায়ে মারাত্মক চোট লাগে, একটি দাঁত ভেঙে যায়। 

রক্তাক্ত অবস্থাতেই সোহম কোনওমতে বাড়ি ফেরেন। বাড়ির লোকেদের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। তাঁরাই তাঁকে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। ঘটনার থেকে খুবই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশের। তবে ওই ছাত্র জানাচ্ছেন এর আগেও গত ১০ ১১ তারিখ তাঁর উপর চড়াও হয়েছিল মাসুম রাজা, আবির সেন। ২ জনেই কলেজের বিবিএ বিভাগের ছাত্র বলে খবর। পুলিশি অভিযোগে সোহম লিখছেন, ‘ওইদিন গেটের সামনে আমাকে গালাগাল করা হয়। জুনিয়র স্টুডেন্ট হওয়ার জন্য আমাকে দেখে নেবে বলে। আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দেওয়ারও হুমকি দেয়। ওই ঘটনার কথা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। এরা বারবার আমাকে প্রাণহানির হুমকি দিয়ে গিয়েছে। বলে গিয়েছে আমরা কারা জানিস না। অনুগ্রহ করে আমার জীবন বাঁচান।’