Sonarpur: জামাল নিজের সুইমিংপুলে কোন জাতের কচ্ছপ পুষত জানেন? সবটা খোলসা করল বনদফতর
Sonarpur: যদিও রাত দশটা থেকে প্রায় সাড়ে এগারোটা অবধি অপেক্ষা করার পর ফিরে যান তাঁরা। কারণ জামাল সরদারের 'রাজপ্রাসাদের' গেটে তালা দেওয়া ছিল। অবশেষে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর গেটের চাবি না পাওয়ার কারণে কচ্ছপ উদ্ধার না করেই ফিরে যেতে হয় বনদফতরের দলটিকে।
সোনারপুর: ঘোড়া,কচ্ছপ কী নেই সোনারপুরের জামালউদ্দিনের সর্দারের বাড়িতে। যদিও, বাড়ি বলা ভুল হবে। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে আস্ত একটা রিসর্ট! আর সেখানেই রয়েছে এই সব প্রাণীরা। বুধবার এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত নড়েচড়ে বসে বনদফতর। জামালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথাও জানালেন ডিএফও মিলন মণ্ডল।
মূলত, বাড়িতে কচ্ছপ পোষা বেআইনি। কার অনুমতি নিয়ে তিনি সুইমিংপুলে কচ্ছপ পুষছিলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বারেবারে। এরপর বাড়িতে কচ্ছপ উদ্ধার করতে রাত্রিবেলাই মিলন মণ্ডলের নির্দেশে বারুইপুর রেঞ্জ অফিস থেকে একটি ৬ সদস্যের দল প্রথমে সোনারপুর থানায় যায়, তারপর জামাল সর্দারের বাড়ি। তাঁদের হাতে ছিল জাল ও কচ্ছপ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য সামগ্রী।
যদিও রাত দশটা থেকে প্রায় সাড়ে এগারোটা অবধি অপেক্ষা করার পর ফিরে যান তাঁরা। কারণ জামাল সর্দারের ‘রাজপ্রাসাদের’ গেটে তালা দেওয়া ছিল। অবশেষে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর গেটের চাবি না পাওয়ার কারণে কচ্ছপ উদ্ধার না করেই ফিরে যেতে হয় বনদফতরের দলটিকে। এ দিকে, বনদফতরের আধিকারিক জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন’ ধারায় মামলা রুজু করা হবে বলে জানিয়েছেন। বনদফতর সূত্রে খবর, জামালের বাড়িতে যে কচ্ছপ দেখা গিয়েছে তার বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘ইন্ডিয়ান সফ্ট শিল্ড টারটেল’। আর বেআইনিভাবে এই কচ্ছপ বাড়ির সুইমিংপুলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানা হতে পারে বলে জানালেন ডিএফও মিলন মণ্ডল।