Bibhas Adhikari: বিভাসের ডেরায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি, আরও জোরালো দুর্নীতিতে সরাসরি যোগের তত্ত্ব

Bibhas Adhikari: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এইসব নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আসার ফলে বিভাস অধিকারীর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত থাকার তত্ত্ব আরও জোরালো হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Bibhas Adhikari: বিভাসের ডেরায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি, আরও জোরালো দুর্নীতিতে সরাসরি যোগের তত্ত্ব
বিভাস অধিকারী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2023 | 8:46 PM

কলকাতা: শনিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলার তদন্তে মোট ৬ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযানে ছয়টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গাই রয়েছে বিভাস অধিকারী (Bibhas Adhikari) সংক্রান্ত। এর মধ্যে রয়েছে বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার ঠিকানা। এই জায়গাগুলিতে তল্লাশি চালিয়ে প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি মিলেছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। এই সব নথি ২০১৬ সালের প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ঘুষ নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রের। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এইসব নিয়োগ সংক্রান্ত নথি আসার ফলে বিভাস অধিকারীর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত থাকার তত্ত্ব আরও জোরালো হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিভাস অধিকারীর যোগের তত্ত্ব এর আগেও উঠে এসেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে ডেকেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এবার সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযানে বিভাস অধিকারীর বিরুদ্ধে আরও নথি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে  বিভাসের বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার ঠিকানায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের পৃথক পৃথক দল। জানা যাচ্ছে, কলকাতার ফ্ল্যাটের চাবি তারা পায়নি। তাই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফ্ল্যাটটি সিল করে দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, এই বিভাস অধিকারী নিজেকে সৎসঙ্গের সঙ্গে যুক্ত একজন ঋত্ত্বিক বলে পরিচয় দিত। বীরভূমে একটি আশ্রমও বানিয়ে ফেলেছে বিভাস। সেই আশ্রম এলাকায় বিভাস সংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলার দুই প্রতিনিধি। পরে ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ আশ্রম থেকে জানানো হয়, বিভাসের তৈরি ওই আশ্রমের সঙ্গে অনুকূলচন্দ্রের সৎসঙ্গের কোনও যোগ নেই। বিভাসের আশ্রমটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটি ট্রাস্ট।