কলকাতাতেও হানা দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের, ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা

দেশের একাধিক রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। ভ্যাকসি হাতে এলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে স্ট্রেন।

কলকাতাতেও হানা দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের, ফের চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 06, 2021 | 8:57 PM

সৌরভ দত্ত: শেষমেষ কলকাতাতেও (Kolkata) দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের (South Africa Strain) হানা। দশ দিন আগে বিদেশ ফেরত চারজন কোভিড পজিটিভের মধ্যে তিনজনের দেহে মিলল ব্রিটেন স্ট্রেন এবং একজনের দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত দশ দিন ধরে আক্রান্তদের উপরে কোন‌ও নজরদারিই ছিল না স্বাস্থ্য ভবনের! বস্তুত এই ঘটনার পর প্রোটোকল তৈরির জন্য তৎপর হয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

দেশের একাধিক রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা। ভ্য়াকসিন হাতে এলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে স্ট্রেন। শনিবার ৪ বিদেশ ফেরত করোনা আক্রান্তর শরীরে বিদেশি স্ট্রেনের হদিশ মিলতেই ফের প্রশ্ন উঠে গেল স্বাস্থ্য দফতরের কনট্যাক্ট ট্রেসিং সেলের সক্রিয়তা নিয়ে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিলেত ফেরত তিনজনের দেহে ব্রিটেন স্ট্রেন এবং একজনের দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, দিন দশেক আগে বিলেত ফেরত মোট ১১ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তাঁদের দেহে আতঙ্কের স্ট্রেন রয়েছে কি না তা জানতে ১১ জন করোনা পজিটিভের নমুনা সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্সে পাঠানো হয়েছিল। শুক্রবার রাতে এন‌আইবিএমজি’র তরফে তিনজনের দেহে ব্রিটেন স্ট্রেন এবং একজনের দেহে দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেন‌ পাওয়ার কথা জানানো হয়। এরপর ওই ব্যক্তিদের খোঁজে তৎপর হয় স্বাস্থ্য দফতর।‌

তবে শনিবার এই ৪ ব্যক্তির খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের বেশ কয়েকটা প্রশ্ন উঠছে। ওয়াকিবহাল মহলে প্রশ্ন উঠছে কেন দশদিন ধরে করোনা আক্রান্তদের গতিবিধি প্রসঙ্গে অন্ধকারে ছিল স্বাস্থ্য দফতর। কেনই বা জিনোম সিকোয়েন্স রিপোর্ট আসার আগে আক্রান্তদের বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হল! এরকম হাজারো প্রশ্ন উঠছে। তবে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এ ধরনের ঘটনা আটকাতে একটি প্রোটোকল তৈরি করা হচ্ছে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন সেই খোঁজ‌ও করা হচ্ছে। এ রাজ্যে যে করোনার কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের গতি যে মন্থর সে কথাও মেনে নিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

প্রসঙ্গত, দেশে এখন করোনার দু’টি ভ্যাকসিনে টিকাকরণ হচ্ছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের মাধ্যমে টিকাকরণ চলছে। তবে কোভিশিল্ড নির্মাতা অ্যাস্ট্রাজেনেকা আগেই জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের বিরুদ্ধে কম কাজ করছে তাদের ভ্যাকসিন। তাই কলকাতায় দক্ষিণ আফ্রিকা স্ট্রেনের কথা প্রকাশ্যে আসতেই ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের কপালে। কারণ ব্রিটেন স্ট্রেনের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার স্ট্রেনেরও সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি।

আরও পড়ুন: ‘দিদিভাই খাতা খুলতেই পারবে না’, শুভেন্দুর নাম ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বাস নন্দীগ্রামের গেরুয়া বলয়ে