সিনেমা ছেড়ে বাংলা ত্যাগ করার প্ল্যান ছিল উত্তমের! জানেন কোথায় একা থাকবেন বলে জমি কিনেছিলেন মহানায়ক?
তিনি মহানায়ক। তাঁর একটি ঝলক পেতে অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। কলকাতায় তাঁর বাড়ির বিপরীতের ফুটপাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও থাকতেন। নানা সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমার নিজেই বলেছিলেন তিনি স্পটলাইট ভালবাসেন। তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের এই উন্মাদনাও উপভোগ করেনি তিনি।

তিনি মহানায়ক। তাঁর একটি ঝলক পেতে অনুরাগীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন। কলকাতায় তাঁর বাড়ির বিপরীতের ফুটপাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও থাকতেন। নানা সাক্ষাৎকারে উত্তম কুমার নিজেই বলেছিলেন তিনি স্পটলাইট ভালবাসেন। তাঁকে ঘিরে অনুরাগীদের এই উন্মাদনাও উপভোগ করেনি তিনি। আর তাই তো বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সময় সাদা কাচের জানলা অল্প খুলে রাখতেন। আর খুব হালকা ভাবে রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকতেন। যাতে অনুরাগীরা ঝলক পেলেও, তা ক্ষণিকের। এমনই ভাবনা ছিল তাঁর। তা উত্তমের জীবন নিয়ে লেখা নানা বইয়ে প্রকাশ পেয়েছে। তবে জানেন কি, স্পটলাইট এত ভালবেসেও, উত্তম চেয়েছিলেন এসব ছেড়ে দূরে চলে যেতে। উত্তম চেয়েছিলেন সিনেমার সেই মায়াবী জগৎ ত্যাগ করে, অভিনয় থেকে অবসর নিয়ে কলকাতা শুধু নয়, তাঁর প্রিয় বাংলাকে ছেড়ে দিতে। আর সেই কারণেই বাংলা থেকে দূরে একটা জমিও কিনেছিলেন মহানায়ক।
সালটা ১৯৫৭। মুক্তি পায় সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার অভিনীত কালজয়ী ছবি হারানো সুর। সেই ছবির অনেকটাই শুটিং হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের তোপচাঁচিতে (সেই সময় বিহার)। প্রথম দেখাতেই তোপাচাঁচির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন উত্তম। শোনা যায়, সুযোগ পেলেই নাকি সেখানে ঘুরতে যেতেন তিনি।
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সাংবাদিক রবি বসুর লেখা থেকে জানা যায়, এই তোপচাঁচিতেই একটা জমি কিনেছিলেন উত্তম। তাঁর ইচ্ছে ছিল, সেখানে এক অবসর নিবাস তৈরি করার। উত্তম নাকি বার বার বলতেন, কর্মক্লান্ত জীবনের ফাঁকে ওখানে গিয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসবেন। শোনা যায়, মহানায়কের নাকি ইচ্ছে ছিল অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর এখানেই একা থাকার।
এই খবরটিও পড়ুন
সেই সময় নানা বিনোদনমূলক ম্য়াগাজিনেও এই জমির খবর প্রকাশিত হয়েছিল। উত্তম শুধু নিজে নয়, তাঁর কাছের মানুষদেরও এখানে জমি কিনতে অনুরোধ করতেন। উত্তমের কথা, তোপচাঁচির মতো স্বাস্থ্যকর জায়গা নাকি ভারতে আর নেই।
তবে হঠাৎ যে তিনি অনুরাগীদের কাঁদিয়ে এভাবে চলে যাবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি কেউ। উত্তমরে সেই অবসর নিবাস তৈরি হয়নি। উত্তমবাবুর বড় সাধের সেই তোপচাঁচির জমি এখন কি অবস্থায় আছে তাও অজানা।





