টেকনিশিয়ানদের ফেডারেশনের বিরুদ্ধে পরিচালকদের আইনি লড়াইয়ে কোন মোড়?
ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)-এর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার কথা আগেই জানিয়েছিলেন পরিচালকদের একাংশ। সমস্যার সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা হলেও স্বস্তি পাননি কিছু পরিচালক। আর সেই সূত্রেই পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য উচ্চ আদালতের দরজায় পৌঁছে যান।

সমস্যার মুখে টলিপাড়া। কাজ সংক্রান্ত জটিলতা বাড়ছে। টলিপাড়ায় ফেডারেশন ভার্সেস পরিচালকদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে শেষ কিছু মাস ধরে। বৃহস্পতিবার আদালতে রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি সচিবকে এই সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি মে মাসের ১৯ তারিখ। তার আগে এই রিপোর্ট জমা করতে হবে। আজ থেকে আর অভিযুক্ত ইউনিয়ন কোনও মামলাকারির কাজে, পেশায় কোনওভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। হেলথ ইনশিওরেন্স কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে ফেডারেশনের কোনও ভূমিকা থাকছে না। ইউনিক কার্ড না পেলেও পরিচালকরা কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। কারণ ফেডারেশনের কোর্ড অফ কনডাক্ট প্রযোজ্য নয়।
বেশ কিছু মাস ধরেই ফেডারেশন ও পরিচালকের মধ্যে বিবাদের খবর সামনে উঠে আসতে দেখা গিয়েছিল। যেখানে একাধিকবার শোনা যায়, ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)-এর বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার কথা আগেই জানিয়েছিলেন পরিচালকদের একাংশ। সমস্যার সমাধান সূত্র খোঁজার চেষ্টা হলেও স্বস্তি পাননি কিছু পরিচালক। আর সেই সূত্রেই পরিচালক বিদুলা ভট্টাচার্য উচ্চ আদালতের দরজায় পৌঁছে যান। তাঁর দাবি, যাঁরা একক ছবি বানান, তাঁদের পক্ষে বিপুল পরিমাণ কলাকুশলী নিয়ে কাজ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে চাপিয়ে দেওয়া টেকনিশিয়ানদের খরচ বহন করাও সম্ভব হয় না। কেন তাঁরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী টিম বানিয়ে কাজ করতে পারবেন না, সেই প্রশ্ন তোলেন বিদুলার তরফে আইনজীবী।
লক্ষণীয়, টেকনিশিয়ানদের সংগঠনের সঙ্গে পরিচালকদের সংঘাতের পর, তাঁরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। তবে কিছুটা সময় পর, পরিচালকরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে যান। কিছু পরিচালক টেকনিশিয়ানদের ফেডারেশনের সমর্থনে পদক্ষেপ করেছেন। আবার কেউ-কেউ বিদুলার পথে হেঁটেছেন। কোন পক্ষের দিকে জয় আসে, তা দেখার অপেক্ষায় টলিপাড়া।





