SSC Recruitment Case: পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি করছেন ২২১ জন, পার্থ-র কমিটিকে বেআইনি বলল রিপোর্ট, ১৮ মে SSC মামলার রায়
SSC Recruitment Case: এসএসসি-র বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। 'বড় স্ক্যাম' বলে উল্লেখ করলেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।
কলকাতা : স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতির শিকড় কতদূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে, তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বাগ কমিটি। আর তাতে এসএসসি-র তিন আধিকারিককে ‘দোষী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শান্তি প্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকার ও কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই রিপোর্টে।
LIVE NEWS & UPDATES
-
পার্থের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে কমিটি তৈরি হয় তা বেআইনি: রিপোর্ট
এর আগে গ্রুপ ডি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে এসেছে রিপোর্টে। এবারও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনের ভিত্তিতে যে নিয়োগ কমিটি তৈরি হয়েছিল, তা বেআইনি। এ দিন কমিশনের আইনজীবী কিশোর দত্ত আর্জি জানান যাতে রিপোর্ট তাঁদের দেওয়া হয়। কে তদন্ত করতে পারে সেটা রিপোর্ট হাতে এলে বলবে কমিশন। আগামী ১৮ মে এই মামলার রায় ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে।
-
‘অনেক বড় স্ক্যাম’, বললেন বিকাশ রঞ্জন
মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে অনেক বড় স্ক্যাম। ক্রিমিনাল তদন্ত হওয়া উচিত। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ছিল বাগ কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করবে এই মামলা। আজ রিপোর্টে স্পষ্ট হয়ে গেল, যে কমিটি করা হয়েছিল সেটাই বেআইনি’। বেআইনি নিয়োগের সঙ্গে টাকার আদান-প্রদান হয়েছে বলেও দাবি বিকাশরঞ্জনের। তিনি বলেন, ‘টাকা নেওয়া হয়েছে নিয়োগের জন্য।’
-
-
শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে ভুয়ো সুপারিশ পত্র তৈরির অভিযোগ
রিপোর্ট বলছে, এসএসসি চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে সব সুপারিশ পত্র তুলে দিতেন আধিকারিকরা। এরপর টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েক সেগুলি তৈরি করতেন। ধ্রুব চক্রবর্তী ও রাজেশ লায়েক সফট কপি, সিডি, ইমেল তৈরি করে করে রাখতেন। কল্যাণময়ের নির্দেশে তারপর সেটা নির্দিষ্ট জায়গায় পাঠানো হত। ফেক রেকমেন্ড লেটার শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে মিলে তৈরি হত বলেও অভিযোগ।
-
ষড়যন্ত্র, নথি জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলা করার সুপারিশ
এসএসসি-র প্রাক্তন কর্তা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও সমরজিত আচার্যকে ৪৬৫, ৪১৭ ও ৩৪ ধারায় শাস্তি দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে। অর্থাৎ ষড়যন্ত্র, নথি জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। শান্তি প্রসাদ সহ বাকিরা একসঙ্গে আলোচনা করেই দুর্নীতিতে যুক্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
-
নষ্ট করা হয়েছিল ওএমআর শিট
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রোগ্রাম অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অন্যদের র্যাঙ্ক কেউ দেখতে না পান, তার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাক্তন কর্তা সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক কুমার সাহা, শান্তি প্রসাদ সিনহা, সৌমিত্র সরকারের নাম দিয়ে ভুয়ো নোট শিট বানানো হয়েছিল, যাতে বাকিরা সেগুলি মানতে বাধ্য হন। কাদের চাকরি দেওয়া হবে তাদের নাম ছিল নোট শিটে। ওএমআর সিট নষ্ট করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে।
-
-
পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি!
বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন রিপোর্ট পেশ করেছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৮১ জনের নাম ছিল না প্যানেলে, কিন্তু তাঁদের নাম সুপারিশ করা হয় কমিশনের তরফে। এই ৩৮১ জনের মধ্যে ২২১ জন পরীক্ষাই দেননি। প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর অনেককে চাকরি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কমিশন থেকেই তাঁদের ভুয়ো সুপারিশের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের নাম, ঠিকানা, বর্তমানে তাঁরা কোথায় চাকরি করছেন সেই তথ্য নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে চাকরি দেওয়া হয় তাঁদের। চেয়ারপার্সনের সই স্ক্যান করা হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে ওই রিপোর্টে।
-
পেশ হল বাগ কমিটির রিপোর্ট
বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আজ, শুক্রবার পেশ হল এসএসসি-র গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট।অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। সেই রিপোর্টে একাধিক প্রাক্তন কর্তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
Published On - May 13,2022 12:16 PM