CID Investigation On Fraud Case: ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে প্রতারণা, কলকাতায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি সিআইডি-র
CID Investigation On Fraud Case: জানা যাচ্ছে, এই চক্রটি কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় অফিস খুলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিত। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুরুলিয়ার কেন্দু থানাতে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়।
কলকাতা: কলকাতার বুকে ফের বড়সড় প্রতারণার পর্দাফাঁস। ঝাঁ চকচকে অফিস খুলে প্রতারণার জাল ছড়ানো হয়েছিল। মোবাইলের টাওয়ার বসানো ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বিমা পলিসি নতুন করে চালু করার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তে সিআইডি। সূত্রের খবর, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় অফিস খুলে রমরমিয়ে চলছিল প্রতারণা চক্রটি। শুক্রবার সকালে কলকাতার চার থেকে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। মূল পাণ্ডা-সহ বেশ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি ও ইলেকট্রনিক গ্যাজেট। মূল অভিযুক্ত সন্দীপ বিশ্বাস গ্রেফতার হয়েছেন ইতিমধ্যেই।
জানা যাচ্ছে, এই চক্রটি কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় অফিস খুলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নিত। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুরুলিয়ার কেন্দু থানাতে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। কলকাতার চার থেকে পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। লালবাজারের উল্টোদিকে আরএন ব্যানার্জি রোডের একটি বহুতলে চলে তল্লাশি। একটি ঝাঁ চকচকে অফিস। সেখান থেকেই বিভিন্ন লোককে ফোন করা হত। কাউকে বলা হত, বাড়িতে মোবাইলের টাওয়ার বসিয়ে দেওয়া হবে, কাউকে আবার বলা হত বন্ধ হওয়া যাওয়া বিমা পলিসি নতুন করে চালু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন। এই ভাবেই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত। বহু মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মূল অভিযুক্ত সন্দীপ বিশ্বাস-সহ আরও বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু নথি ও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম।