দিনভর টানাপোড়েনের শেষ, প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গোলপার্কের বাড়িতে ‘গৃহবন্দি’ শোভন

ব্যক্তিগত ‘রিস্ক বন্ড’ দিয়ে তাঁকে বাড়ি ফেরানোর আবেদন করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।

দিনভর টানাপোড়েনের শেষ, প্রেসিডেন্সি জেল থেকে গোলপার্কের বাড়িতে 'গৃহবন্দি' শোভন
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 22, 2021 | 10:10 PM

কলকাতা: দিনভর টানাপোড়েন। অবশেষে হাসপাতাল-জেল হয়ে বাড়ির পথে নারদা মামলায় (Narada Case) অভিযুক্ত শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shovan Chattopadhyay)। শনিবার সন্ধেবেলাই প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের হাতে তাঁকে সঁপে দিয়েছে এসএসকেম। তার পর প্রেসিডেন্সি জেল হয়ে গোলপার্কের বাড়ির পথে শোভন। ব্যক্তিগত রিস্ক বন্ডে সই করে আদালতের নির্দেশে অবশেষে বাড়িতেই গৃহবন্দি থাকবেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।

শনিবার উডবার্ন ওয়ার্ডের বারান্দা থেকে আদালতের নির্দেশে ‘গৃহবন্দি’ শোভন অভিযোগ করেন তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে এসএসকেএমে। তিনি সুস্থ। বাড়ি নয়ত প্রেসিডেন্সি জেলেও ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে আর এক দণ্ড থাকতে রাজি হননি তিনি। এই প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধেবেলা এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ শোভনকে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষের হাতে সঁপে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এদিন এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে ফিরহাদ হাকিমের মতো শোভনও গৃহবন্দি থাকবেন নাকি জেলে যাবেন,  তা নিয়ে ছিল জল্পনা। অবশেষে জানা গেল রাজ্যের প্রাক্তন শোভনও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মতো বাড়িতে বন্দি থাকবেন।

ব্যক্তিগত ‘রিস্ক বন্ড’ দিয়ে তাঁকে বাড়ি ফেরানোর আবেদন করেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। নিজের আইনজীবীর মারফত একইদিনে হাসপাতাল এবং জেল কর্তৃপক্ষের কাছে মোট পাঁচটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শোভনের ঠিকঠাক চিকিৎসা করাবেন তিনি।

এদিকে শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন শোভন। সেখানে অভিযোগ করেন, যুক্তি দেখাতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছে এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এভাবে তাঁকে ‘ডমিনেট’ করা যাবে না। তিনি জানান এসএসকেএমে না খেয়ে রয়েছেন। এখানে যদি না বলা কথা থেকে যায় তাই সাংবাদিকদের কাছে তাঁর আসা।

আরও পড়ুন: ‘আমি বন্ড দিয়েও বাড়ি ফিরতে চাই’, উডবার্নের জানলা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক শোভনের 

শোভন প্রশ্ন তোলেন, কেন নারদ মামলায় মাত্র চারজনকে আটক করে রাখা হয়েছে? জানান, তাঁর আর শারীরিক অসুবিধা নেই। তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলেও পাঠিয়ে দেওয়া হোক, কিন্তু হাসপাতালে আর তিনি থাকতে রাজি নন। শনিবারের চাপানউতোর শেষে অবশেষে গোলপার্কের বাড়িতে গেলেন শোভন।