Road Safety: শিক্ষা দিল নদিয়া! সড়কের ধারে হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার ইউনিট অত্যাবশ্যক, সিদ্ধান্ত নবান্নের
Nabanna: রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরহিত্যে সোমবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপার, পিডব্লুডির আধিকারিকরা সেই বৈঠকে অংশ নেন।
কলকাতা: রাজ্যের সড়কের ধারে থাকা হাসপাতালগুলিতে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করতে হবে। কোন কোন হাসপাতালে এই বিশেষ পরিষেবার ব্যবস্থা থাকবে তার তালিকা তৈরি করবে জেলা প্রশাসন। নদিয়ার ভয়াবহ পথদুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর পৌরহিত্যে সোমবার এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশসুপার, পিডব্লুডির আধিকারিকরা সেই বৈঠকে অংশ নেন। ছিলেন পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরাও। সেই বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, রাস্তার ধারে যে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে এখনও ট্রমা কেয়ার ইউনিট নেই, তা অতি দ্রুততার সঙ্গে তৈরি করতে হবে। এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার থাকা অত্যাবশ্যক বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য।
এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার গড়ে তোলার জন্য প্রথমে হাসপাতালগুলির তালিকা তৈরি করবে জেলা প্রশাসন। অর্থাৎ কোন কোন হাসপাতালে এখনও এই ট্রমা কেয়ার সেন্টার নেই তা চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির প্রচার আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্ল্যাক স্পটগুলি কোথায় কোথায় রয়েছে সেগুলিও পুলিশকে খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে।
শীতকাল মানেই রাতের দিকে কুয়াশা বাড়ে। তাই পুলিশকেও প্রয়োজনীয় নজরদারি চালাতে হবে বলে এদিন নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেই যাতে সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় তার জন্য পুলিশের পেট্রলিং আরও বাড়াতে বলা হয়েছে।
মূলত নদিয়ার হাঁসখালিতে দুর্ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। ইদানিং একাধিক পথদুর্ঘটনার খবর জেলাগুলি থেকে আসছে। শীতকাল পড়তেই বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। শুধু জেলা কেন, কলকাতাগুলিতেও পথের বলি হচ্ছেন অনেকেই। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগনায় এক বৈঠক থেকে এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশও করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার মুখ্যসচিব এই বৈঠক থেকে পিডব্লুডির আধিকারিকদের স্পষ্ট বার্তা দেন, রাস্তায় খানাখন্দ থাকলে দ্রুত সে সমস্ত রাস্তা ঠিক করতে হবে। মানুষের প্রাণের ক্ষেত্রে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে আরও বেশি করে তৎপর হতে হবে সমস্ত দফতরকে।
রবিবার কাকভোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে নদিয়ায়। পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৮ জন শ্মশানযাত্রী। মৃতদেহ সত্কার করতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদার পারমদন এলাকার বাসিন্দা শিবানি মুহুরীর মৃত্যুর পর ঠিক হয়, সত্কার করা হবে পাশের জেলা নদিয়ার নবদ্বীপে। সেই মতো রাতেই আত্মীয়, পরিজন, গ্রামবাসী মিলিয়ে পঁচিশ-ছাব্বিশজন মৃতদেহ নিয়ে মালবাহী গাড়িতে সত্কারের জন্য রওনা হন। এরপরই নদিয়ার ফুলবাড়িতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই শববাহী গাড়ি।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কয়েকজনের। সকলকেই উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেও মৃত্যু হয় কয়েকজনের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ছ’জনকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। লরির চালককে আটক করেছে পুলিশ। শববাহী গাড়ির চালকের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: Corona Update: একদিনের মৃত্যুতে পর পর তিনদিন শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, সক্রিয় রোগীতে প্রথমেই কলকাতা