Suvendu Adhikari on Anubrata Mondal: ‘শুধু ডাকলেই হবে না, ভেতরে ঢোকাতে হবে!’
Kolkata: গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছে সিবিআই। এর আগে যখন এই মামলায় অনুব্রতকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, কাকতালীয়ভাবে তখন রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ছিল। এপ্রিলে বিধানসভা ভোট হয় বাংলায়। ২৯ এপ্রিল ছিল বীরভূমে ভোট।
বীরভূম: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্ট রক্ষাকবচ দিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। এখনই সিবিআই তাঁর প্রতি কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের সিবিআই-কাঁটা অনুব্রতের দুয়ারে। গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling) তলব করা হয়েছে তাঁকে। ধবারই তৃণমূল সাংসদ দেবকে এই মামলায় নোটিস পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার নোটিস যায় অনুব্রতর কাছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁকে। অনুব্রতকে নোটিস পাঠানো নিয়ে এ বার মুখ খুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর কথায়, “এত দেরি করে নোটিস কেন! আমি তো আগেই বলেছিলাম, বীরভূমের এক নেতা বসে বসে কয়লাপাচার, গরুপাচার করে। আরও আগে নোটিস পাঠানো উচিত ছিল। শুধু তো সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে ডাকলেই হবে না। ভেতরে ঢোকাতে হবে।” বস্তুত, তৃণমূল ত্যাগের পর শুভেন্দু একাধিকবার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কয়লাপাচার গরুপাচারের অভিযোগ তুলেছেন। পাল্টা অনুব্রত শুভেন্দুকে ‘নেংটি ইঁদুর’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘নেংটি ইঁদুর চুরি করে ভোটে জিতেছে।’ এখানেই শেষ নয়, বিভিন্ন সময়েই শুভেন্দু-অনুব্রত একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।
সম্প্রতি, গরুপাচার মামলায় অনুব্রতকে নোটিস দিয়েছে সিবিআই। এর আগে যখন এই মামলায় অনুব্রতকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল, কাকতালীয়ভাবে তখন রাজ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোট ছিল। এপ্রিলে বিধানসভা ভোট হয় বাংলায়। ২৯ এপ্রিল ছিল বীরভূমে ভোট। এদিকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে অনুব্রতকে সিবিআই হাজির হতে বলেছিল। যা নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোটের আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই ‘অতি তৎপরতা’কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলেই দাবি করেছিলেন তিনি। তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে বাকি ১০৭টি পুরসভার সঙ্গেই ভোট হবে বীরভূমের পাঁচ পুরসভায়। ফলে শাসক শিবিরের দাবি, এ বারেও ইচ্ছে করেই তলব করা হয়েছে অনুব্রতকে। খোদ তৃণমূল নেত্রীই বলেছেন, “কেষ্টটার শরীর খারাপ, তাও ওকে নোটিস পাঠিয়েই যাচ্ছে। সামনে ভোট তো! পলিটিক্যালি তো ওকে কিছু করতে পারবে না। তাই এইভাবে চাপ দিচ্ছে।”
এর আগে যখন ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই ডাকে, তখনই অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেছিলেন, এই তলবের পিছনে রাজনীতি রয়েছে। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে যান তিনি। অনুব্রতর বক্তব্য ছিল, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তাঁকে সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছে। সমন আসার পর বারবার সিবিআইকে তিনি জানিয়েছেন, শরীরে তাঁর নানা সমস্যা রয়েছে। অনুব্রত থাকেন বোলপুরে, অথচ সিবিআই তাঁকে দুর্গাপুরে ডেকে পাঠাচ্ছে। যেহেতু এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডল সাক্ষী, অভিযুক্ত নন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে এখনই কোনও কড়া পদক্ষেপ নয় সিবিআইয়ের বলেই জানায় হাইকোর্ট। এ বার ফের গরুপাচার মামলায় তলব করায় প্রশ্ন উঠছে শাসক দলের অন্দরে। যদিও অনুব্রতর তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা