School Students: পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্তি শূন্য, মোবাইলেই সর্বনাশ! কোন পথে মিলবে সমাধান?

School Students: ২ বছর বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। কিন্তু পরীক্ষার ফল বলে দিচ্ছে, অনলাইনে পড়াশোনা কতটা ক্ষতি করেছে শিশুদের।

School Students: পরীক্ষার খাতায় প্রাপ্তি শূন্য, মোবাইলেই সর্বনাশ! কোন পথে মিলবে সমাধান?
মোবাইলে আসক্ত পড়ুয়ারা!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 9:36 PM

কলকাতা : করোনা পরিস্থিতিতে দিনের পর দিন গৃহবন্দি থাকতে হয়েছে শিশুদের। অনলাইনে পড়াশোনা আদৌ কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে, তা নিয়ে বহু বিশেষজ্ঞ সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আগেই। কতজন পড়ুয়া পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। স্কুল খোলায় শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাণ ফিরেছে ঠিকই। তবে, প্রথম পরীক্ষাতেই যা ফল দেখা গেল, তাতে চোখ কপালে শিক্ষিকাদের। উত্তর কলকাতার এক নামী স্কুলে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষায় অনেক পড়ুয়া পেয়েছে শূন্য। দক্ষিণ কলকাতাতেও এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। কেন এমন অবস্থা? বেশিরভাগ শিক্ষিকাই বলছেন বাড়িতে থাকালালীন মোবাইলের অভ্যাসই কাল হয়েছে।

শিক্ষক শিক্ষিকারা বলছেন, পড়ুয়ারা ছুটি পেতে পেতে পড়ার অভ্যাসই হারিয়ে ফেলেছে। আর হাতে মোবাইল পাওয়ায় কার্যত লাটে উঠেছে পড়াশোনা। তাঁরা মনে করছেন, অনলাইন ক্লাসে অনেক পড়ুয়া হাজির থাকলেও, তাঁদের মন ছিল অন্যদিকে।

স্কুল শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী জানিয়েছেন, রোজকার পড়ার অভ্যাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন স্কুল শুরু হওয়ায় ফোন নিয়ে আসছে না তারা, ফলে ফোন থেকে দূরে থাকছে। মোবাইলের অভ্যাসের কারণেই পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। তাঁর দাবি, পড়াশোনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। অভ্যাসের মধ্যে থাকলেই পড়াশোনা ভাল হয়। অনলাইনে পড়াশোনার ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও জানান, একদম সাদা খাতা জমা দিয়েছে, এমনও পড়ুয়াও রয়েছে। লিখতে হবে, এটাই বোধ হয় বুঝতে পারছে না তারা।

আর এক শিক্ষিকা সুপর্ণা ভট্টাচার্যের দাবি, মোবাইলে পড়াশোনা চলছিল। কিন্তু শিশুদের মন অন্যদিকে, আসক্ত হয়ে যাচ্ছিল। আর সেটাই এই খারাপ ফলের কারণ। তাঁর কথায়, একজন শিক্ষিকা হিসেবে তাঁদের কর্তব্য ওই সব শিশুদের আবার পড়াশোনার অভ্যাসে ফিরিয়ে আনা।

তবে মনোবিদরা মনে করছেন, শুধু শিশুদের দোষ দিলেই চলবে না। বাবা-মায়েদেরও অভ্যাস বদলাতে হবে। মনোবিদ অলকানন্দা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফোন ব্যবহার করা মানেই আসক্তি নয়। যদি দেখা যায়, ফোন না দিলে সে রাগ করছে, খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে, মনোযোগ চলে যাচ্ছে, খাবার খাচ্ছে না, তাহলে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, ২ বছর ধরে একরকম অভ্যাস তৈরি হয়েছে শিশুদের। তাই তারা এখন হঠাৎ করে সব অভ্যাস থেকে সরে আসবে, এমনটা প্রত্যাশা করা ঠিক নয়। তবে তাঁর মতে, শিশুকে একাকে দোষ না দিয়ে বাবা- মায়েদেরও মোবাইল থেকে দূরে থাকতে হবে। তবেই শিশুরা শিখবে। নিয়ম করে মোবাইল থেকে দূরে রাখতে হবে তাদের।