Subrata Mukherjee: সুব্রত-প্রয়াণে শোকবিহ্বল গোটা রাজ্য, সরকারি দফতরে আজ অর্ধনমিত পতাকা
Subrata Mukherjee: সকাল ১০টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর বিধানসভা হয়ে দুপুর ২টোর পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে দেহ।
কলকাতা: সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে, তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে রাজ্য সরকার আজ, সরকারি কার্যালয়গুলিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কালীপুজোর রাতে গোটা রাজ্যে নেমে আসে অন্ধকার। প্রয়াত হন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৭৫ বছরে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান। সকাল ১০টা থেকে মরদেহ থাকবে রবীন্দ্রসদনে। রবীন্দ্রসদন থেকে মরদেহ আসবে বালিগঞ্জের বাড়িতে।
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকবিহ্বল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবারই তিনি বলেছেন, “সুব্রতদার দেহ আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।” বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাত ৯ টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সুব্রত। ২৫ অক্টোবর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রাতে পিস ওয়ার্ল্ডেই রাখা ছিল মন্ত্রীর দেহ। পিস ওয়ার্ল্ড থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে।
সকাল ১০টা-দুপুর ২টো পর্যন্ত রবীন্দ্রসদনে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। তারপর বিধানসভা হয়ে দুপুর ২টোর পর বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। একডালিয়া ক্লাব হয়ে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে প্রয়াত রাজনীতিকের শেষ কৃত্য। আজ, শুক্রবার সরকারি দফতরে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। প্রয়াত মন্ত্রীর শ্রদ্ধায় রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগের সমস্যার পাশাপাশি সিওপিডি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাও ছিল। একাধিক রোগের কারণেই বেড়ে গিয়েছিল জটিলতা। জানা গিয়েছে তাঁর ধমনীতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক ছিল না। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শে স্টেন্ট বসানো হয়। আর সেই স্টেন্টই মৃত্য়ুর কারণ হয়ে উঠেছিল বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
মোটামুটি সুস্থই হয়ে উঠছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন শুক্রবারই হাসপাতাল তেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আচমকা মৃত্যু সংবাদ। কী হল এমন?
এসএসকেএমের এক চিকিৎসক জানান, সুস্থ হওয়ায় তাঁকে কার্ডিও বিভাগ থেকে উডবার্ন ওয়ার্ডে আনা হয়েছিল। এ দিন বাথরুম থেকে বেরিয়ে বেডে ফেরার সময় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন সুব্রত। চিকিৎসকের কথায়, স্টেন্ট থ্রম্বোসিসের কারণেি তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত, ধমনীতে রক্ত চলাচল ঠিক মতো না হলে স্টেন্ট বসানো হয়। এ ক্ষেত্রে স্টেন্টেই রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। ফলে ধমনী অকেজো হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, মন্ত্রী যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন সেখানে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। পরে সিনিয়র চিকিৎসকদের ডাকা হয়। ইন্টার ভেনশনাল কার্ডিওলজিক্যাল সাপোর্টে রাখা হয় তাঁকে। নানা রকমের লাইফ সাপোর্টে রাখার চেষ্টা করা হয় তাঁকে। কিন্তু সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। ৯ টা ২২ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: ‘গুরু’ প্রিয়র হাত থেকে নিয়েছিলেন ধুতি ও পাঞ্জাবী, জীবনভর ‘সু’-ব্রতই পালন শিষ্যের