Sukhendu Sekhar Roy on Harassment Case: ‘৯৩ শতাংশ যৌন হেনস্থার ঘটনাই ঘটে পরিবারের অভ্যন্তরে’, মমতার মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বললেন সুখেন্দু
Sukhendu Sekhar Roy on Harassment Case: ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর তথ্য উল্লেখ করে তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, ৯৩ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে বাড়ির মধ্যে। অর্থাৎ তাঁর দাবি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সেই সব ঘটনায় জড়িত থাকে পরিবারের সদস্য বা বন্ধু।
কলকাতা : সম্প্রতি হাঁসখালির ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়। আর এবার ধর্ষণ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের মন্তব্য ঘিরে আবারও প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুখেন্দু শেখর দাবি করেছেন, ৯৩ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনাই ঘটে পরিবারের অভ্যন্তরে। এ দিন প্রথমে ধর্ষণ বা নির্যাতনের ঘটনার নিন্দা করেন তৃণমূল সাংসদ। আর তারপরই এই দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো জানিয়েছে, ৯৩ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক কারণে হয়। এটা সামাজিক অবক্ষয়ের দিক তুলে ধরে। এটা শুধু পুলিশ নামিয়ে হবে না।’
আদতে হাঁসখালি-কাণ্ড প্রসঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছিলেন, তাতে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। হাঁসখালিতে মৃত ১৪ বছরের কিশোরী গর্ভবতী ছিলেন কি না, তাঁর কোনও প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন মমতা। মমতার সেই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই এ দিন এই মন্তব্য করেন সুখেন্দু। তাঁর দাবি, এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে হলে শুধু প্রশাসনিক পদক্ষেপ করলেই হবে না। সমাজের অবক্ষয় মেটাতে হবে। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই হাঁসখালির ঘটনার নিন্দা করেন সুখেন্দু। ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের বার্তাও দেন। তারপর বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার যৌন হেনস্থার ঘটনায় ৯৩ শতাংশই ঘটেছে পরিবারের মধ্যে। যাতে জড়িত আত্মীয় বা বন্ধু। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সবার সমালোচনা করা উচিত।’
সুখেন্দুর প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা যার পরিবারে যে রকম মানসিকতা, সে সব ঘটনা সেইভাবেই দেখে। যার পরিবারে যে রকম পরিবেশ থাকে, সে সেরকমভাবেই বাইরের পরিবেশটা দেখে। তাঁর দাবি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মহিলাদের হেনস্থা বন্ধ হওয়া উচিত। তা না করে পারিবারিক যোগ থাকার তত্ত্ব দিয়ে আদতে ধর্ষণ ও হেনস্থার ঘটনাকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, তাঁর চ্যালা-চামুণ্ডারা আর এক ভাবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, হাঁসখালি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘ধর্ষণ নাকি প্রেগন্যান্ট?’ তিনি বলেছিলেন, ‘আপনি রেপড বলবেন? নাকি প্রেগন্যান্ট বলবেন? না লাভ অ্যাফেয়ার্স বলবেন?’ আর মমতার এই মন্তব্য ঘিরে সমালোচনা হয়েছে বিরোধী শিবিরে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তুমুল সমালোচনা হয়।