Suvendu Adhikari: ৫০ লাখ মানুষকে ভবানীপুরের জন্য ভাসিয়ে দিয়েছেন মমতা, উদ্ধারে নামুক বিজেপি
Suvendu Adhikari: "আমি ২১ বছরের তৃণমূল করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই দল ২০১৬ সালের পর থেকে পুলিশ, সরকারি ক্ষমতা এবং গুন্ডা নির্ভর।সিপিএম পাঁচ বছর লেগেছিল, এই পার্টি উঠতে ৩০ দিন লাগবে না।''
কলকাতা: “ভবানীপুরের জন্য রাজ্যের ৫০ লক্ষ মানুষকে বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে বন্যা। সেই লোকগুলির প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করব। আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করব, ভারতীয় জনতা পার্টির যত শক্তি আছে, সবাইকে আগামিকাল থেকেই তার সীমাবদ্ধ ক্ষমতার মধ্য দিয়ে বন্যার্ত মানুষের পাশে নামিয়ে দিতে হবে। গোটা ভারতবর্ষের সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকেও আবেদন করতে হবে এই সাহায্য কার্যে।” শুক্রবার বিধান নগরে দলের নয়া রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।
ডিভিসি প্রসঙ্গে আগেই মমতাকে সরাসরি নিশানা করেছিলেন বিরোধী নেতা। আর এই অনুষ্ঠান থেকে আর চাঁচাছোলা ভাষায় তাঁর আক্রমণ, ‘এই সরকারকে অপদার্থ’। বিরোধী নেতা বলেন, “আর্ত মানুষকে সেবার জন্য আমাদের নামতে হবে।” তিনি বলেন, বিজেপিতে তাঁর যোগ দেওয়ার বেশি দিন হয়নি। কিন্তু দলে তিন ধরনের কর্মী সমর্থক আছেন বলে তিনি মনে করেন। “একটা, বিচারধারা ওও আদর্শ, সরকার ক্ষমতায় আসবে তাই বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখাই, সরকার ক্ষমতায় আসেনি তাই অন্যদিকে পালাই। আর একটা অংশ আছে যারা দেখছে, পশ্চিমবঙ্গটাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মমতা সরকার। সনাতনী হিন্দু ধর্ম অসহায়, শ্যামাপ্রসাদের স্বপ্ন ভেঙেচুরে তছনছ। দুর্নীতি প্রতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে, তাঁরা বিনা স্বার্থে ভারতীয় জনতা পার্টি ও নরেন্দ্র মোদীকে মনে করেছেন সঠিক প্ল্যাটফর্ম ও সঠিক নেতা।” তিনি তৃতীয় ঘরাণার বলেন ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি যোগ করেন, “মুকুল রায়ের কাছে মমতার ভাইপো সব কেড়ে নিয়েছিলেন। সেখানে মুকুল রায় রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিলেন।” সেখানে বিজেপি তাঁকে উদারতার সঙ্গে জায়গা দেন বলে মন্তব্য শুভেন্দুর। তিনি যোগ করেন, “আমি শুবেন্দু অধিকারী, তিনটে ক্যাবিনেট ছিল। এইচআরবিসি-র চেয়ারম্যান, সাতটা জেলার অবজার্ভার। আমি সব ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেরুয়া ঝান্ডাটা গ্রহণ করেছি তার কারণ বাংলার সনাতনী সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে এবং বাংলাকে আরেকবার উদবাস্তু বাংলা হতে দেওয়া যাবে না।”
শুভেন্দু আরও বলেন, বিজেপির অতীত সম্পর্কে তিনি সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাননি। তবে বিজেপিতে সমর্থনের কমতি নেই। ৭৭ আসন নিয়েও সরকার হয়। শতাংশের বিচারে তাঁরা মোটেই কম ভোট পাননি বলে মন্তব্য বিধানসভার নেতার। তাঁর দাবি, আগামী ১৫-২০ বছরে ২টোর বেশি পার্টি এই বাংলায় থাকবে না। বলেন, “আমি ২১ বছরের তৃণমূল করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই দল ২০১৬ সালের পর থেকে পুলিশ, সরকারি ক্ষমতা এবং গুন্ডা নির্ভর। আর উনিশ সালের পর দুধেল গাইদের ওপর নির্ভর করে চলছে। যেদিন এই পার্টিটা সরকারে থাকবে না। সিপিএম পাঁচ বছর লেগেছিল, এই পার্টি উঠতে ৩০ দিন লাগবে না।” শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক মুকুল রায় কে দিয়ে শুরু হবে। যত বিধায়ক বিজেপি দল থেকে গেছে সব জায়গায় উপ-নির্বাচন হবে।”
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: ‘বাঁধ করেননি, ভাতায় খরচ করেছেন’, মমতার ‘ম্যানমেড’ তত্ত্ব খারিজ শুভেন্দুর