মুখ্যসচিবের উপস্থিতিতেই রাজভবনে গেলেন শুভেন্দু
আজ সন্ধেয় রাজ্যের মুখ্যসচিবকে রাজভবনে তলব করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তার আগেই রাজভবনে হাজির শুভেন্দু অধিকারী।
কলকাতা: নন্দীগ্রামে জয় এনে গেরুয়া শিবিরে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেস্টিজ ফাইটে বাজিমাত করেছেন তিনি। তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হবে বলেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে। এবার আচমকাই রাজভবনে হাজির হন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধেয় যখন রাজভবনে উপস্থিত মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, তার মধ্যেই রাজভবনে ঢোকে শুভেন্দুর গাড়ি।
এদিনই রাজভবনে তলব করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে কথা বলতেই তাঁকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। উপস্থিত হন রাজ্য পুলিশের ডিজিও। এরই মধ্যে রাজভবনে আসেন শুভেন্দু। কিন্তু কী কারণে তিনি এলেন, তা স্পষ্ট নয়। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যান শুভেন্দু। কী কথা হল, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে বাংলা জুড়েই। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেই উত্তপ্ত হয় নন্দীগ্রামও। সেখানে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চলছে বলে অভিযোগ করে গেরুয়া শিবির। এমনকি মহিলাদের উপরও অত্যাচার চলছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে কথা বলতেই কি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ শুভেন্দুর? উঠছে সেই প্রশ্ন।
ইতিমধ্যে রাজ্যপালের কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, সন্ত্রাস ইস্যুতে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করতেই এ দিন রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখাসচিবকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল।
অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে শনিবার সে সব রিপোর্ট নিয়ে সন্ধেবেলা রাজভবনে দেখা করতে বলেন ধনকড়। কিন্তু রাজভবনে গেলেও কোনও রিপোর্ট নিয়ে যাননি মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। এতে চূড়ান্ত বিরক্ত রাজ্যপাল। টুইট করে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, ডিজি এবং মুখ্যসচিবের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে কথা হয়েছে। কিন্তু তাতে রাজ্যের সামগ্রিক অশান্তির চিত্র তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়নি।