Suvendu Adhikari: মুকুল ইস্যুতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: মুকুল ইস্যুতে দলত্যাগ বিরোধী আইনে স্পিকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা।
কলকাতা: মুকুল রায় মামলায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন আগেই খারিজ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিরোধী দলনেতাকে শীর্ষ আদালতের পরামর্শ ছিল, প্রয়োজনে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন। তবে তা করতে হবে এক মাসের মধ্যেই। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে নতুন করে মামলা করেন বিরোধী দলনেতা। মুকুল ইস্যুতে দলত্যাগ বিরোধী আইনে স্পিকারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে স্পিকার নির্দেশ দেন, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা।
মুকুল রায়ের রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে টানাপোড়েন অব্যহত। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়েন মুকুল রায়। জয়ীও হন। এদিকে একুশের ফল প্রকাশের পরই সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে হাজির হয়েছিলেন মুকুল। যোগদানও করেন বলে সূত্রের খবর। বিজেপির তরফ থেকে দাবি তোলা হয়, বিধায়ক পদ খারিজ করা হোক মুকুলের। ১১ ফেব্রুয়ারি মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের মামলায় রায় দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে স্পিকার স্পষ্ট করে দেন, মুকুল বিজেপি-তেই আছেন। তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হচ্ছে না।
স্পিকারের রায় মেনে নিতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। গত মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। কিন্তু শীর্ষ আদালতে তাঁর আবেদন গ্রাহ্য হয় না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, প্রয়োজনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করতে পারেন শুভেন্দু। সেই মোতাবেক সোমবারের এই মামলা।