‘স্কুল জীবন থেকে আসি, রাজনীতির কোনও সম্পর্কই নেই’, শিমলায় বিবেকানন্দকে শ্রদ্ধা শুভেন্দুর
"ভারতীয় সনাতনী ঐতিহ্য, হিন্দুত্ব আর স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের ধমনীতে, আমাদের হৃদয়ে, আমাদের ফুসফুসে।"
কলকাতা: ছাত্রাবস্থা থেকে বিবেকানন্দের শিমলা স্ট্রিটের বাড়িতে আসছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। মঙ্গলবার সকালে স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তিতে মাল্যদান করে এমনটাই বললেন শুভেন্দু অধিকারী। ভারতের ঐতিহ্য-সংস্কৃতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য বিবেকানন্দর নাম। সেই মহামানবের জন্মতিথিতে শ্রদ্ধা জানাতে এসে এদিন বারবার শুভেন্দুর গলাতেও শোনা গেল সনাতনী ঐতিহ্যের সুর।
এদিন সকাল আটটা নাগাদ উত্তর কলকাতার শিমলা স্ট্রিটে বিবেকানন্দর বাড়িতে পৌঁছন শুভেন্দু। সোজা চলে যান গর্ভগৃহে। সেখানে বিবেকানন্দর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপরই বাইরে এসে বলেন, “২০ বছর হয়ে গেল। প্রতি বছর এখানে আসি। মহারাজরা আমাকে সুযোগ করে দেন। যখন ছাত্র ছিলাম, কলেজে পড়তাম তখন থেকে আসছি। পরে কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ হয়েও এসেছি। গত বছর মন্ত্রী হিসাবে এসেছি। এবছর একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে এসেছি। ভারতীয় হিসাবে এসেছি।” এরপরই শুভেন্দু বক্তব্যে মিশে যায় সনাতনী হিন্দুত্বের সুর, “ভারতীয় সনাতনী ঐতিহ্য, হিন্দুত্ব আর স্বামী বিবেকানন্দ আমাদের ধমনীতে, আমাদের হৃদয়ে, আমাদের ফুসফুসে।”
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, আগামিকাল দুপুরের পরে রাজ্যে ঢুকছে ভ্যাকসিন
আজও স্বামীজীর আদর্শ কতটা প্রাসঙ্গিক সে কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দুকে এদিন বলতে শোনা গেল, ‘জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ইশ্বর’-এর অমোঘ মন্ত্র। শুভেন্দু জানান, শিমলা স্ট্রিটের এই বাড়িতে পাশেই নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে। তার জন্য ১ কোটি টাকা ‘সংগ্রহ’ করে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ শুধুমাত্র ১২ জানুয়ারি আসলেই তিনি যে বিবেকানন্দকে স্মরণ করেন না, সে কথাও ঠারেঠোরে বোঝালেন শুভেন্দু।